পাতা:কাব্যগ্রন্থ (নবম খণ্ড).pdf/৫৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাঙ্কনী পৃথিবীতে যত কবি যত কবিত্ব সমস্ত যদি ধুয়ে মুছে ফেলতে পার তাহ’লেই প্রমাণ হবে এতদিন কেজে লোকেরা তাদের কাজের জোরটা কোথা থেকে পাচ্ছিল, তাদের ফসলক্ষেতের মূলের রস জুগিয়ে এসেচে কা’রা ! মহারাজ, আপনার দরজার বাইরে ঐ যে কান্না উঠেচে সে কান্না থামায় কা’রা ? যারা বৈরাগ্যবারিধির তলায় ডুব মেরেচে তারা নয়, যারা বিষয়কে আঁকড়ে ধরে’ রয়েচে তা’রা নয়, যারা কাজের কৌশলে হাত পাকিয়েচে তা’রাও নয়, যারা কৰ্ত্তব্যের শুষ্ক রুদ্রাক্ষের মালা জপ চে তারাও নয়, যারা অপৰ্য্যাপ্ত প্রাণকে বুকের মধ্যে পেয়েচে বলেই জগতের কিছুতে যাদের । উপেক্ষা নেই, জয় করে তা’রা, ত্যাগ করেও তারাই, বঁচিতে জানে তা’রা, মরতেও জানে তা’র, তা’র জোরের সঙ্গে দুঃখ পায়, তারা জোরের সঙ্গে দুঃখ দূর করে,— স্বষ্টি করে তা’রাই, কেন না তাদের মন্ত্র আনন্দের মন্ত্র, সব চেয়ে বড় বৈরাগ্যের মন্ত্ৰ ! ওহে কবি, তা’হলে তুমি আমাকে কি করতে বল ? উঠতে বলি, মহারাজ, চলতে বলি ! ঐ যে কান্না, ওযে প্রাণের কাছে প্রাণের আহবান ! কিছু করতে পারব কি না সে পরের কথা—কিন্তু ডাক শুনে যদি ভিতরে সাড়া না দেয়, প্রাণ যদি না তুলে ওঠে তবে অকৰ্ত্তব্য হ’ল বলে’ ভাবনা নয়, তবে ভাবনা মরেচি বলে’ । QWっ> 9–71