পাতা:কাব্যমঞ্জরী.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

85 কথাম । এমন সময়ে শশী, নিশি-হৃদে দিয়া মসী, তারে ফেলি গেল আস্তাচলে । কিছু পরে বিরোচন, দীপ্ত করি ত্ৰিভুবন, উঠিলেন গগনমণ্ডলে । দিবালোকে দিব্য-জ্ঞান, পান মুনি মতিমান ; দূরে গেল সংশয়-আঁধার ; দেখেন প্রলয়ঙ্কর, কাল এক নিশাচর আসিতেছে পশ্চাতে র্তাহার। দেখিতে সে ছায়া ন্যায় পদ-শব্দ হীন তায় ; চুপে চুপে জীবে আসি নাশে ; যাহার নিকটে যায়, সে জন না টের পায় অকস্মাৎ পড়ে তার গ্রাসে । এ সকল ভয়ঙ্কর কাও দেখি মুনিবর পলাবার ভাবেন উপায় ; সম্মুখেতে বেগবতী, বহে আশা-স্রোতস্বর্তী পার হেতু তরি নাই তায় । কিন্তু দৃঢ় করি মন, রথ হতে তপোধন বাষ্প দিয়া পড়িলেন নীরে ; সুবিস্তার পাট তার সন্তরণে হয়ে পার, উঠিলেন সন্তোষের তীরে । সে দেশ কি মনোরম ! সাক্ষাৎ কৈলাস সম! পূর্ণানন্দ তথা অধিষ্ঠান ! শোক-তাপ-বিবর্জিত | জ্ঞানি-গণ-মনোনীত, দেবের দুঙ্গভ সেই স্থান ।