অন্তঃপ্রকৃতির একটা মনগড়া কল্পিতলোক সৃজন করে মাত্র। শূন্য আকাশে যেমন গৃহনির্ম্মাণ করা যায় না, সেইরূপ কল্পিত-লোকে কবিতাকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। এই কল্পিত-লোকের কোন সত্তা নাই। এ মিলনমন্দির সত্য। সত্যকে ছাড়িয়া দিলে কোন কবিতাই ।
আমি দু’একটি কবিতা উদ্ধৃত করিয়া আমার কথাটি বুঝাইতে চেষ্টা করিব।
কৃষ্ণপ্রেমে মজিয়া যখন রাধিক। কুলমানের কথা ভাবিয়া আক্ষেপ করিতেছেন
“অন্তরে বাহিরে কুটু কুটু করে
সুখে দুখ দিল বিধি”-
কবি তখন একেবারে রাধিকার মনের বহিরাবরণ ভেদ করিয়া সেই মহামিলনমন্দিবে প্রবেশ করিলেন“কহে চণ্ডীদাস শুন বিনোদিনি। সুখ দুখ দুটি ভাই। সুখের লাগিয়ে যে করে পিরীতি দুখ যায় তার ঠাঞি?”
আজকাল এরূপ কবিতা শুনিতে পাই না! আর কি শুনিতে ऋग्रेब नौ?
রাধিকার পুর্বরাগের কথা মনে করুন!
সই কেবা শুনাইল শ্যামনাম
কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিল গো,
আকুল করিল মোরা প্রাণ।