পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

அச কাব্যের কথা সঙ্গে সঙ্গে ইহা ঘর ছাড়িয়া আসল ঘরেরও ছবি। আমরা প্ৰথম হইতেই এই গানটিকে সকল দিক দিয়া দেখিতে চাই। গিরিরাণী মেনকা গিরিবরকে ডাকিয়া কহিতেছেন, “ওগো, আমি যে আর উমাকে প্ৰবোধ দিতে পারি না”, শুধু এই প্ৰথম ছত্রটি পড়িলেই বুঝা যায়, ইহাতে রাণী মেনকার মেহ, বাৎসল্য, মধুর রসের যে বেদনী, তাহার সুরেতে যে প্ৰতি অক্ষরেই মাখামাখি । তাহার পরের চিত্র সন্তানের অভীষ্ট বস্তু না পাওয়ার জন্য মেয়ের সেই অভিমান, ঠোঁট ফুলাইয়া কান্না, স্তন হইতে মুখ ফিরাইয়া লওয়া, এ সকল দিক্‌ কেমন অঙ্কিত জীবন্ত চিত্রের মত ফুটিয়াছে, সন্তান যেমন হাত বাড়াইয়া চাদের পানে চায় আর কুঁাদে। এই কয়টি ছত্রের পর পুনর্বার “আমি পারিনে হে প্ৰবোধ দিতে উমারে? এইটা ফিরিয়া আর একবার বলায়, মার বেদনার গভীরতা কেমন ব্যক্ত হইয়াছে। তারপর,-“আয় আয়, মা মা বলি, ধরিয়ে কর-অঙ্গুলী, যেতে চায় না জানি কোথরে ” এইখানে আমরা আর একটি নূতন রহপ্ত পাই, মেয়ে মা মা বলিয়া অঙ্গুলী ধরিয়া যখন চাঁদের দিকে দেখায়, সেই হাত বাড়াইয়া দেখার ভিতর সেই ছোট মেয়েটির প্রাণের ভিতর যে রূপের ডাক, তার তৃষ্ণা, সেই পথে মিলিবার অজানিত আশা ও শব্দহীন ভাষা, তাহার ভিতর মেনকা রাণী তাহার বুদ্ধির দ্বারা “কোথা যেতে চায়’, ইহা ভাবিয়া পাইলেন না। কোন অজানিত মহাশূন্তের পানে এই ছোট মেয়ের প্রাণ ধায় কেন, তাহা মেনকা নিজের মনে মনে ঠিক ধরিতে পারেন নাই। তাই তিনি “চাদ বিষ্কারে ধরা যায়’ বলিলে, সে দুরন্ত মেয়ের মত বসনভূষণ ছুড়িয়া ফেলিয়া দিল। মা মেনকা তখন যেন আর সামলাইতে পারিলেন না। পিতা গিরিবির উঠিয়া কন্যাকে ভুলাইলেন। মুকুরে