পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলার গীতিকবিতা oC) তাহার দার্শনিক তত্ত্ব, মাতার যৌবনের সৌরভের স্মৃতি আয় ৰে রহস্তের নিগুঢ় পরিচয় দিয়াছেন, সেই রহস্তের কথা । ‘সবার ছিলি আমার হলি কেমনে ?” এই যে রহস্যের ভিতর এক প্রশ্ন তুলিয়া খাড়া করা, এ রহস্য জগতের সকল রহস্যে মিলাইয়া দেখার মত ভাব, কবির নিজস্ব বুন্ধি ও জ্ঞানের অনুসন্ধানের পরিচয় হইতে পারে, ইহাকে রহস্য-রস বলা যাইতে পারে। এত বিচার বিপত্তি মা’র হয় না । মাতা সন্তানের মুখে বিশ্বের সকল পরিচয়ই পাইতে পারেন ও বিশ্বের মধ্যে সন্তানেৰ সকল অঙ্গাঙ্গী সম্পর্কগুলাও দেখিতে পারেন, কিন্তু তাহা এমন বিচার করা পর্দা-ঠিক-করা শুষ্ক জ্ঞানের মধ্য দিয়া নয়, সে মাধুৰ্য্য। আর এক রসের ধারা । সেই রসেই বাঙ্গলার জাত বজায় থাকে ও আছে ; এই আধুনিক কবিতায় বাঙ্গলার জাত মারা গিয়াছে । আমাদের বক্তব্য এই যে, কবিতায় এমন করিয়া আমাদের জাত হারাইতে আমরা প্ৰস্তুত নাহি । আর একটা কথা রামপ্ৰসাদের ঐ গানে শুধু বাৎসল্য-রস নহে, মধুর রসের ভিতর যুগল সম্বন্ধের ভিতর বাৎসল্য কেমন অঙ্গাঙ্গিতাবে ফুটিয়াছে, তাহা একটু মনকে ঠিক করিয়া দেখিলে বুঝিবার অসুবিধা হইবেও না । দেশভেদে য়েমন চেহারার পার্থক্য আছে, বিশিষ্ট জাতি আছে, তেমনি কবিতারও জাতি আছে । ইহা ত গেল বাঙ্গলার খাটী কবি রামপ্রসাদ ; ইহাকে অবশু বৈষ্ণব কবিদের মধ্যে কেহ ফেলিবেন না ; কিন্তু বাঙ্গলার কৰি, চিন্তামণি চণ্ডিীদাসের যশোদার বাৎসল্য সম্বন্ধে একটি গান আছে। সেটি এই :- “তুমি মোর প্রাণ-পুতলি সমান बठक्रन नछि cाथेि ।