পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলার গীতিকবিতা So নষ্ট করিয়া তৈয়ারী হইল, তাহার গুরু কে ? তাহার গুরু রামমোহন রায় । “জবরদস্ত মৌলবী” রামমোহন বাল্য হইতে আরবী ফারসী পড়িয়া যে ছাপ সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, সেই ছাপে বাঙ্গলার ধৰ্ম্মকে ভাঙ্গিয়া সমাজ-সংস্কারক রামমোহন ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠার জন্য ব্ৰহ্ম সমাজ করিয়াছিলেন । মুসলমানেরা একসঙ্গে যেমন নমাজ পড়ে সেই অনুকরণে সমাজ গড়িলেন। পৌত্তলিকতার উপর এত বড় চোট দিলেন । বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের উপর অযথা অন্যায় বিচার করিলেন। অবশ্য, এ কথা মানি যে, বৈষ্ণব তখন শুকুনা মালার ঠিকঠকিতে পরিণত श्शेब्रांछिल । বাঙ্গলা দেশের তান্ত্রিক সাধনাঙ্গের ধারাও তখন কিছু বিশুদ্ধ ছিল ন, অথচ রামমোহনের গ্ৰন্থাদি হইতে বৈষ্ণবের প্রতি অযথা বিদ্বেষ ও সঙ্গে সঙ্গে তান্ত্রিক সাধনাত্ন প্ৰতি অধ্যথা আসক্তি,-এ সকলের প্রমাণ প্রচুর পরিমাণেই পাওয়া যায়। এমন কি, এই দুই সাধন-পদ্ধতির সমালোচনায় তিনি বৈষ্ণবধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের জাত তুলিয়া গালি দিতে ছাড়েন নাই। যদি বাঙ্গলা সাহিত্যে দেবদেবী-চরিত্রের দুৰ্গতিই রামমোহনের আবির্ভাবের কারণ হয়,-যেমন আধুনিক কালের কোন , কোন লব্ধপ্ৰতিষ্ঠ সাহিত্যিক অতি স্পষ্টভাবেই বলিয়াছেন,-তবে এ কথা বলিতেই হইবে যে, রামমোহনের দ্বারা সে নষ্ট-ধৰ্ম্ম ও লুপ্ত দেব দেবী-চরিত্রের উদ্ধার সাধন বা সময়োপযোগী কোন সমন্বয়ই সাধিত হয় নাই। যাহা রামমোহনের প্রায় শতাব্দীকাল পরে পুতপ্রবাহিণী গঙ্গার তীরে তীরে কোন কোন মহাপুরুষের জীবনে তাহার আভাস, উন্মেষ, তাহার বিকাশ, তাহার প্রতিষ্ঠা, ঊর্তাহাদেবু জীবনে সেই মহাপ্ৰাণের প্রতিষ্ঠা আমরা লক্ষ্য করিয়াছি ; কিন্তু রামমোহনে তাহা छिल भl-श्व नांदे ।