পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Ν8 কাব্যের কথা স্বষ্টি করিয়া তাহারই মধ্যে কল্পকলার প্রতিষ্ঠা করিতে চায়, তাহাদের আমি তর্ক করিয়া কিছুই বুঝাইতে পারিব না।—শুধু বলিব, এই যে বিলাস, যাহার একদিক দেখিতেছি, অপর দিক দেখিতে পাইতেছ নাইহ বাহু! আবার কেহ কেহ বলেন, ইন্দ্ৰিয়গ্রামের কথা তুচ্ছ নিম্নস্তরের কথা, কল্পকলায় তাহার স্থান নাই । ইন্দ্ৰিয়ের বিষয় কল্পকলার রাজ্যে প্ৰবেশ করিলে কল্পকলা অপবিত্র হইয়া যাইবে, আমাদের ধৰ্ম্ম নষ্ট হইবে । নীতির কথা বল, তত্ত্বের কথা বল, মানুষের প্রবৃত্তির মধ্যে যাহা আছে, সব কাটিয়া ছাটিয়া দাও, ইন্দ্ৰিয়ভোগের যে স্পৃহা, তাহার নাম মুখে আনিও না, মানুষকে দেবতা করিয়া তুল, কল্পকলার দোহাই দিয়া জীবনকে অপবিত্ৰ করিও না । জীবনকে অপবিত্র করে কাহার সাধ্য ? জীবের জীবন যে ভগবানের লীলা,সেই লীলামায়ের লীলার উপরে হস্তক্ষেপ করে, এমন অহঙ্কার-এমন দাম্ভিকতা কার ? মানুষ কি এই পর্দাঘেরা নীতি-কথা বুকে বধিয়া মিথ্যার উপর দাড়াইয়া মিছামিছি বিনাকারণে দেবতা হইয়া উঠবে ? মানুষের প্রবৃত্তি কি সত্য নহে? মানুষের প্ৰবৃত্তির মধ্যে কি ভগবানের সাড়া পাওয়া যায় না ? আজও কি চৈতন্তের দেশে এ কথা শুনিতে হইবে যে, আমাদের ইন্দ্ৰিয়ের খেলা সয়ন্তানের খেলা ? আমরা কি ইংরাজী আমলের প্রথম অবস্থায় যাহা মুখস্থ করিয়াছি, তাহা কিছুতেই ভুলিতে পারিব না ? ইন্দ্ৰিয়ের মধ্যে কি অতীন্দ্ৰিয়ের সন্মান মিলে না ? ইন্দ্ৰিয় যে অতীন্দ্ৰিয়ের ভিত্তি ইন্দ্ৰিয়ের রাজ্য একেবারে ছাড়িয়া দিয়া একটা মনগড়া শুদ্ধ পবিত্ৰলোকের প্রতিষ্ঠা কৃরিতে যাওয়াও যেমন, শূন্য-আকাশে গৃহ-নিৰ্ম্মাণের চেষ্টাও ঠিক সেইরূপ! মিথ্যা কল্পরাজ্যে তাহা স্থান পাইতে পারে, সত্যয়াজ্যে তাহার প্রতিষ্ঠা হয় না । এমন হতভাগ্য কি কেহ আছে যে,