পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূপান্তরের কথা বুকের ভিতর হইতে টানিয়া বাহির করে, যাহা মায়া বলিয়া ভ্ৰম হয়, তামার সত্যরূপকে জাগাইয়া দেয়। যাহা এমনি আমাদের চোখে পড়ে, যাহার ভিতর সেই অচিন্ত-দ্বৈতাদ্বৈতের রহস্য আমাদের কাছে প্ৰকাশ হয় না, কল্পকলার সেই সত্যকে মনের কাছে জীবন্ত জাগ্ৰত করিয়া ধরিয়া দেয়। রূপ, রস, শব্দ, স্পৰ্শ, গন্ধের ভিতর দিয়া আমাদের প্রাণের কাছে সেই সত্যকে আনিয়া দেয়। রূপে রূপে রসে রসে যে লীলা, তাহার ধ্যানগত অনুভূতিই কল্পকলার বিভূতি । কল্পকলাবিদ সেই বিভূতি দর্শন করেন। যাহারা সত্যের সঙ্গে, জীবনের সঙ্গে ভাল করিয়া পরিচয় দিয়াছেন, তাহার সঙ্গে পরানুরক্তির আসক্তি জাগিয়াছে, যাহাদের চিত্ত সর্বভাবে সেই পারানুরক্তিতে ভিজিয়া গিয়াছে, যাহাদের ভাব সেই রসের মধ্যে গাঢ়তা লাভ করিয়াছে, সেই প্ৰাণ-মন-দেহ দিয়া অনুধ্যান, সেই অহৈতুকী সান্নিধ্যলাভের জন্য র্যাহ্বাদের প্রাণ প্ৰেমরসে বিভোৱ হইয়াছে, তঁহারই সকল্পকলার স্রষ্টা । মনের যে আকাঙ্ক্ষা, সে সত্য বস্তুকে সুন্দর করিতে চায়। শুধু তাহার একটা ভাবের আভাষে প্ৰাণ ভরিয়া উঠে না, তাহাতে সে তৃপ্ত হয় না। সেই রূপারসের ভিতর দিয়া মূৰ্ত্তিকে ধরিতে চায়, তাহাতে দোষ হয়। এই যে, বস্তু তাহার নিজেয় স্বাধীন ভাবকে প্ৰকাশ করিতে পারে। DBDSS SDB BDB BDDD BDDBBDBBS DBDDDBDBDBK B DDD S তাহার স্বাভাবিক স্মৃৰ্ত্তিতে বাধা পায়। তাই তখন আয় সুন্দর থাকে না। বস্তুর যে নিজের স্বাভাবিক স্বচুৰ্ত্তি ও গতি আছে, তাহাই তাহার বিশিষ্ট সৌন্দৰ্য্য, আর সেই জন্যই তাহা সুন্দর। সে ষে রস জাগাইয়া দেয়, তাহাই সুন্দর । তোমার আমার মনে যে রসের অনুভূতি হয়, তাহার সঙ্গে সেই বস্তুর রসাঙ্গসমূহ মিলিত হইয়া আমার প্রাণের কাছে এমন একটি রূপের দ্বারা রসের আভাষ জাগায়-যাহা সুন্দর-অতি সুন্দর !