পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবিতার কথা Sh ধরণ, সব বদলাইয়া গিয়াছে। এখন আমাদের ভাষা অন্য প্রকারের, আমরা প্ৰত্যেক কথাই এত ঘুরাইযা বলি যে সাদাসিধে লোকে বুঝিতে পারে না । আমাদের ; ছন্দের এখন সাপের মতন বক্রগতি । তা’র ঝঙ্কারে এত প্রকারের রাগরাগিণী-আলাপ থাকে যে, যাহার যথেষ্ট সুরাবোধ আছে সে ভাব বেচারাকে একেবারেই আমল দেয় না, আর যে হতভাগ্যের যথেষ্ট সুরাবোধ নাই সে অনেক চেষ্টা করিয়াও পড়িতেই °Cद्र क्रा । আমাদের কবিতার এই শোচনীয় অবস্থার হয় তা যখাযথ কারণ আছে। যাহারা সাহিত্যের ইতিহাসে সুপণ্ডিত র্তাহারা বলিতে পারেন। কিন্তু যথেষ্ট কারণ থাকুক। আর নাই থাকুক, তাহাতে ত মন মানে না ! প্ৰাণ ষে চায় সেই বৈষ্ণব কবিদিগের সাব-জুড়ান সুধাস্রোত। মন যে চায় সেই বাঙ্গালীর কবিতা । বাঙ্গলার মাটি, বাঙ্গলার জলকে সত্য করিতে হইলে বাঙ্গালীর কবিতাকে পুনৰ্জীবিত করিতেই হইবে। কবিতা লইয়া আর খেলাধূলা ভাল লাগে না । সংসারের খেলাঘরে খেলিতে খেলীিতে যাহারা প্ৰাণের বস্তুর সাক্ষাৎ পায় তাহারা বাস্তবিকই ধন্য। কিন্তু যাহারা প্ৰাণের বস্তু লইয়া খেলা করিতে বসে তাহদের মত দুৰ্ভাগ্য আর কার ? বঙ্গসাহিত্যের সেই হারাণ ধারাকে আবার খুজিয়া বাহির করিতে হইবে। সে মরে নাই, একেবারে বিলুপ্ত হয় নাই,-সরস্বতী নদীর মত বালুকারাশির মধ্যে লুকাইয়া আছে। সেই বালি খুড়িয়া তাহাকে বাহির করিতে হইবে । আমি পণ্ডিত নহি, দার্শনিকও নহি, কিন্তু আশৈশব সাহিত্যসেবার চেষ্টা করিয়াছি। ইউরোপীয় বড় বড় লেখকেরা আজকাল কি লেখেন, আমি হয় তা ভাল করিয়া জানি না। হয় তা আমার বুঝিবার ক্ষমতাই নাই। কিন্তু বাঙ্গল কবিতার যথার্থ প্ৰাণ কি, তাহা আমি বুঝিও