পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR কাব্যের কথা বাহা প্ৰথম ধরা যায়, তাহা শুধু বহিরাবরণ। প্ৰত্যেক প্ৰত্যক্ষের, প্ৰত্যেক ভাবেরই একটা অন্তঃপ্ৰকৃতি আছে। সেই বহিরাবরণ ও অন্তঃপ্ৰকৃতি মিলিয়া মিশিয়া এক। তাহারই নাম বস্তু। জীবন এই মহামিলনমন্দির । কত বিচিত্র রূপ, কত বিচিত্ৰ গন্ধ, কত বিচিত্র রস, কত না সুরের খেলা, কত না রসের মেলা ;-আমরা যে তিলে তিলে নূতন হইয়া উঠিতেছি। বাঙ্গলার কবি তখন চামর চুলাইতে দুলাইতে গাহিলেন “নব রে নব নিতুই নব, যখনি হেরি তখনি নব ।” আদিম যুগ হইতে বাঙ্গলার বুকে অনেক আশা, অনেক ভােব আপনা আপনি জমাট বাধিতেছিল। সে যে হৃদয়ের মাঝে জ্ঞানে কি অজ্ঞানে, কাহার খোঁজ করিতেছিল, মিলন-পরীশের জন্য আকুল হইয়া অপেক্ষা করিতেছিল। মনের ভিতর ডুবিয়া ডুবিয়া যেই দেখিতে পাইল, আর সে আনন্দ ধরিয়া রাখিতে পারিল না। তখন কবি গাইয়া উঠিলেন,- “হৃদয়ে আছিল বেকত হইল দেখিতে পাইনু সে” হৃদয়ের মাঝে যে ভােব আপনা। আপনি ফুটিতেছিল, সে যেন মূৰ্ত্তি ধরিয়া জাগিয়া উঠিয়াছে। “সে রূপ-কেমন ? যেন,- “6颈外-夺瓦司 ভ্ৰমরা দোলয়ে চৌদিকে বেড়িয়া বাঁক” তাহাকে দেখিয়া কবি বাহাজ্ঞান হারাইয়াছিলেন, শুধু অন্তরের ভিতর মরমের সেই লুকান ঘরে বিভোর হইয়া দেখিতেছিলেন। যখন বাহ্যজ্ঞান ফিরিয়া আনিল, তখন দেখিতে পাইলেন-- তাহার সেই মানসপ্ৰতিমা, জীবন-প্ৰতিমা,-