পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ কাব্যের কথা \\ م অভাব যেমন জীগিত, তেমনি মিলিয়া মিশিয়া পূরণ করিতে চেষ্টা কিরিত। পূর্ণিমা রজনীতে যখন জ্যোৎস্নার অনাবিল ধারায় ধরিত্রীকে স্নাত দেখিত, বিহগ-বিহগীর মধুর স্বরলহরী শুনিত, নির্বারের জলধারায় আলোড়িত উপলখণ্ডের ভাষা শুনিত, তাহারা দল বঁাধিয়া নৃত্য করিত, গান করিত আনন্দ উদ্বেলিত হৃদয়ে অধীর হইয়া উন্মত্তবৎ কত ভাবের ও সুরের প্রকাশ করিত। পাখীর সমবেত কলরবে।াখিত গানোব মত তাহদেরও ভাষা ফুটিত, সেই প্ৰথম গান, সেই প্ৰথম প্ৰাণের আবেগ, সেই মানবের প্রথম রাসানুভূতি, তাহাই সমাজ-বিজ্ঞানবিদের বিশদ কথা । দিন গেল, স্বভাব অভ্যাসে দাড়াইল, পরস্পর পরস্পরের অনুভূতির দ্বারা নানারূপে ভাব প্ৰকাশ করিতে লাগিল । দশজনে মিলিয়া যে নৃত্য-গীত চলিত, তাহা ক্ৰমে অন্য আকার লইয়া অন্য আবেগের ধারায় নূতন রকমের সৃষ্টি হইতে লাগিল। স্ত্রী-পুরুষে সহজাত সংস্কারবশে যুগল মিলিতে লাগিল। তখন সেই দুইয়ের ভিতরে আদান প্ৰদান, ভাব অভাব, মিলন ও বিরহের পাওয়া ও না পাওয়ার রস উপজয় হইল । গানের ধারাও নূতন হইল, এমনি করিয়া কবিতার জন্ম। তুমি আমি, আমি তুমি, হাসি কান্নার বিলাস । মনস্তত্ত্ববিদ বলেন যে, সেই সময়ে যত রকমের মানুষের মনে, যত রকমের সহজাত সংস্কারের খেলা হইতে লাগিল, তত রকমেই তাহার ভাব ও আকার পরস্পর আপেক্ষিক পরিবর্তন হইতে লাগিল। প্ৰত্যেক পরিবর্তনই এক এক পৃথক ভাবের প্রকাশ, প্ৰত্যেক সেই প্ৰকাশের সঙ্গে সুরের ও ভাষার ক্ষুৰ্ত্তি হইতে লাগিল। যেখানে যেমন ভাবটি ভিতরে ছিল, তেমনটিই বাহিরের আকার লইয়া প্ৰকাশ পায়। না-পাওয়ার জন্য যে ক্ৰন্দন, সেই ক্ৰন্দনে এক অপূৰ্ব সুর উঠে, সেই সুর গানে পরিণত