পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলার গীতিকবিতা ՏԳ হয়। জীবন ও মৃত্যু, শোক ও আনন্দই সেই সংস্কার-যুগের বিশেষ ब्लभ61 । তার পর, দিন গেল, নানারূপে তাহা পূর্ণভাবে বিকশিত হইতে লাগিল। শীত কাটিয়া গেলে যেমন বসন্ত আসে, আদিম যুগের সে জড়তা কাটিয়া গেলে, তেমনি জীবনের সরসতা আসিল। বিচিত্র রসানুভূতিতে মানব উৎফুল্প হইয়া উঠিল। তখন কঁাদিত, দেহের স্বাভাবিক অভাবে ; ক্ৰমে তাহার ভিতরে মনের ভাবাভাবি জাগিল, রূপতৃষা আসিল, ভালবাসিতে শিখিল, পূর্ণ হইতে পূর্ণতর হইতে লাগিল । কিন্তু কল্পকলার যে স্রষ্ট,-যে কবি,-সে তাহার অনুভূতির ভিতর দিয়া বলিবে, এ যে লীলা! আনন্দঘন-রসাধার মায়াধীশ এমনি করিয়া রসভোগ-লীলা যুগে যুগে করেন। পাখীর বুকের ভিতরেও তিনি গান, সমীর-হিল্লোলেও তিনিই তান, জলের বুকে যে আলোকের নৃত্য, সেও যে সেই নিত্য সত্য রংরাজের রংএর খেলা ! তঁহার তা আদি অন্ত নাই । কেবল ফুটাইয় ফুটাইয়া রূপে রূপে বিলাস করিয়া, ভাঙ্গিয়া, গড়িয়া জীবনের চিদানন্দঘন-রস পান করিতেছেন ; “বিশ্বপ্ৰকৃতিও সেই রাস পান করিতেছে। সৃষ্টির আদি অন্ত কে খুজিয়া দিবে ! আগে পরে” কে বলিবে ? ছোট বড় বিচার করিবে কে ! এই সমগ্র জীবনের অনুভূতিই সাহিত্য। প্রত্যেক পা ফেলা ও প্ৰত্যেক পা ফেলার দাগটি। মনস্তত্ত্ববিদ বলেন, এই রূপতৃষার্শ্বভাব, স্বষ্টি-রক্ষার জন্য মিলিবার পন্থা। কল্পকলার স্রষ্টা বলে, এ তৃষা নয়, এ । স্ফৰ্ত্তি, রূপের ভিতর দিয়া রূপকে পাইবার, আপনাকে ফুটাইবার, খেলা করিবার, লীলার মাধুৰ্য্য। মাটি ফাটিয়া তৃণ তাহার শুগামসুন্দর কোমলতা বিছাইয়া দেয়, ফুল ফোটে, পাখী গায়, আকাশে মেঘ রৌদ্রের খেলায় রঙের পর রং ঝলকিয়া যায়, এ সবই আপনিই হয় ; সে “আপনি’ সেই