পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w8 কাব্যের কথা কবিতার প্রাণের সহজ সরল ভাবগুলি মিনিসুতার মালার মত গাথিয়া তুলিতে চেষ্টা করিব। বৈষ্ণব-কবিতা রিসভারা পাকা ফলের মত, তাহার খোসা আছে, শাস আছে, রসে অনুপম মিষ্টতা আছে, এমন কবিতা বাঙ্গলা দেশের গৌড়ীয় যুগের চণ্ডিদাস ছাড়া আর কাহার গানে আজও পৰ্যন্ত মিলে না। চণ্ডিীদাসের অনুভূতি আর কাহার হয় নাই। একদিকে বাঙ্গলার পর্ণকুটীরের কবি চণ্ডিদাস, অন্যদিকে মিথিলার রাজকবি বিদ্যাপতি । বিদ্যাপতির শিবসিংহ ছিল, লছিমা ছিল, চণ্ডিদাসের ছিল “নান্নরের মাঠে পত্রের কুটার নিরজন স্থান অতি’ আর ছিল রামী ! একজন রাজ-অনুগ্ৰহে সম্মান-সুখভোগের মধ্যে পালিত, আর একজন দুঃখ-দারিদ্র্য-লাঞ্ছনা-পীড়িত । বিদ্যাপতির লছিম দুরে আকাশের কোলে উজ্জ্বল তারকার মত, আর চণ্ডিদাসের রামী র্তাহার বুকের ভিতর-প্ৰাণের ভিতর। দুইজনের অনুভূতি এক হয় নাই। দুইজনেই জীবনের সকল দিকের কথা ব্যক্ত করিতে চাহিয়াছেন, দুইজনে কিন্তু সমান পারেন নাই। দুইজনেই কবিতার মিলনমন্দিরের দ্বারে পৌছিয়াছেন। একজন মন্দির-দ্বারে আসিয়া থমকিয়া থামিয়া গেলুেন, আর একজন সেই মণিকোটার প্রাণ চিন্তামণিকে বুকের ভিতর ধারণ করিলেন, গাইলেন,- “বঁধু হে নয়নে লুকায়ে থোব প্ৰেম-চিন্তামণি রসেতে গাঁথিয়া হৃদয়ে তুলিয়া ল’ব ।” “রসেতে গাথিয়া” এও সেই সহজিয়ারই কথা । এই রসের সাধনাই