পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Əly” কাব্যের কথা পর কি জানিয়ে পরের বেদন সে রােত আপন কাজে !! চণ্ডিদাস বলে বনের ভিতরে কন্তু কি রোদিন সাজে ৷ রসজ্ঞ। সুজন মাত্ৰেই যিনি এই বিচ্ছেদ ও মিলনের রসে রসিক ও দরদী, তিনি উভয়ের এই দুই পদ আলোচনা করিলেই বুঝিবেন, বিদ্যাপতি শুধুমাত্র রসের কথায় মজিয়াছেন, কিন্তু চণ্ডিদাস তাহাতে মজিয়া ডুবিয়া জীবনে এক নূতন অনুভূতির কথা বলিতেছেন। দুইটি গানে একই রকমের ভাবের ও কথার মিল পাওয়া যায়, হয় তা উভয়ে স্বতন্ত্র ভাবেই ইহার স্রষ্টা, অথবা একজন একজনের আগে কিংবা পরে, কিন্তু তাহা লইয়া এখানে আমরা আলোচনা করিতে চাই না । আমি শুধু এখানে ভাবের দিক্‌ দিয়াই বিচার করিব। বিদ্যাপতির রাধিক কহিতেছেন, প্রেমের তরুবর আপনি বাড়িল, কিন্তু দুৰ্জনের দুণীীতিতে তাহা উপযুক্ত স্থানের অভাবে শুখাইয়া গেল। আর সেই স্থলে চণ্ডিীদাসের রাধিক কহিতেছেন,-

  • গুরু। গরবিত বসতি আমার’

আমি প্ৰাণ হাতে করিয়া বাস করিতেছি, সই রে, তোকে আর কি বলিব, এ রসে যে মজিল, সেই মনের মরম কথা জানিবে। বিদ্যাপতির, রাধিকা বলিতেছেন, "কুলের ধৰ্ম্ম প্রথমেই অলি আসিল, কে ফিরাইয়া দিবে ?” চণ্ডিীদাসের রাধা বলিতেছে,- ‘কুলবতী হইয়া পীৱিতি করিলে এমতি সঙ্কট তারে ৷ CSCss a CR ८° लि ফুকরি কঁদিতে নারে ।”