পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলার গীতিকবিতা NOS) এই জায়গায় উভয়েই একই কথা বলিয়াছেন, কিন্তু মনে মনে শোক করিতেছি, মুখ ঢাকিয়া রোদন করিতেছি’র, ব্যঞ্জনা হইতে ‘পোয়ের লাগিয়া ফুকরি কঁাদিতে নারে’ এই কথা কয়টাতে ভাব ও ভাষার সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য আছে, ইহাতে ঐ ভাবটির শ্ৰেষ্ঠ প্ৰকাশ। তাহার পর বিদ্যাBBD DBB DBDBD SDukD BDBD DDBBSuD DS DBDBLB BDBBD BDBD দিতেছে’ ভিতরে বাহিরে জ্বলিয়া মরিতেছেন, এমন অবস্থায় বিদ্যাপতি কহিলেন, শিবসিংহের লাগিয়া। আপনি আসিবে । অর্থাৎ তঁর শিবসিংহের প্ৰেমে বদ্ধ, শিবসিংহ তাহাকে আনিয়া দিবেন। চণ্ডিীদাসের }শবসিংহ ছিল না, তঁহাকে কৃতজ্ঞতা জানাইতে হয় নাই, রাজার মন রাখিতে হইত না। তিনি বলিলেন রাধিকার মুখে “কুলবতী হইয়া পীরিতি করিলে এমতি সঙ্কট তারে,” শুধু এই খানেই তিনি তঁহার রাধার অন্তরের অন্তরে প্রবেশ করিয়া কহিলেন,- “পর কি জানিয়ে পরের বেদন সে মত। আপনি কাজে । চণ্ডিদাস বলে, বনের ভিতরে কন্তু কি রোদিন সাজে ৷” এই সমস্তটাকে একটা সাৰ্ব্বভৌমিক সত্যের উপর তাহার ১ঞপ্রতিষ্ঠা করিয়া দিলেন। বিদ্যাপতি শুধু রাধার অন্তরে প্রবেশ করিয়া রাধার কথার সঙ্গে নিজের প্রাণের ভাব মিলাইয়া জড়াইয়া দিলেন, কিন্তু চণ্ডিদাস রাধাকে রাধাই রাখিলেন, তাহার মনের, শুধু রাধার মনের নয়, কুলবতীর মনের কথাটি এমন সহজ সরলভাবে প্ৰকাশ করিয়াছেন যে, তাহার তুলনা হয় না। তারপর নিজে রাধা হইয়া অথচ দূরে দাড়াইয়া তাহার রাধার