পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলার গীতিকবিতা 8S শ্ৰীকৃষ্ণ-চৈতন্তের আবির্ভাবের পূর্বে বাঙ্গলার এই প্ৰেম-রাসের সাধন রাধা-কৃষ্ণ-লীলার গানে গৌড়জনের প্রাণমন শীতল করিত। দেশে তখন অবাধ হাওয়া, অজস্র জলধারা, শ্যাম প্ৰান্তর, অজয়ের ফেনমুখ গৈরিক জলস্রোত ! পাখিতে রাধাকৃষ্ণ বুলি বলিত, মানুষে রাধাকৃষ্ণের প্রেমের আদর্শে জীবনের অনুভূতি লাভ করিত। বাঙ্গল দেশ তখন গানে গানে মুখরিত ছিল। সে কাল এখন নাই। সে পদাবলী সাহিত্যের গানগুলিকে বৈষ্ণব কবিরা, এক এক রসে ভাগ করিয়া সমস্ত গাঁথিয়া দিয়াছেন। সমস্ত পদাবলী গানগুলি তাহাতে যেন ফুললতা-পাতার রঙ্গের বিচিত্র সমাবেশ। প্ৰত্যেকটি যেন এক একটি খিলান, আর রস যেন সেক্ট খিলানের চাবি, সেই খিলানের পর খিলান গাঁথিয়া এক বিশাল বিরাট মন্দির রচনা করিয়াছেন,--যাহাতে মানবের সকল অবস্থার রাসলীলাই তাহার মধ্যে ফুটিয়া আছে। বিদ্যাপতি ও চণ্ডিীদাসের যে সকল পদাবলী ভাব সম্মিলনে বা রাগাত্মিকায় আছে, তাহারই মধ্য হইতে আমি সেই শ্রেষ্ঠ অনুভূতির । ও রূপান্তরের যে যে ভাব, স্তর ও ধারা পাইয়াছি, তাহাই বলিব । বিদ্যাপতির একটি সৰ্ব্বজনবিদিত পদ আছে, তাহাকে লোকে পদাবলীর ” সর্বশ্ৰেষ্ঠ কবিতা বলে,- “সখি হে কি পুছসি অনুভব মোয় । সোই পীরিতি অনুরাগ বখানিতে তিলে তিলে নূতন হোয় ৷ জনম অবধি হম রূপ নিহারল नश्र्न न उिंब्रुश्ऊि cऊन । সেই মধুর বোল শ্রবণহি শুনল 건)-T Fil C하키, II