পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলার গীতিকবিতা 《 “এ দেশেতে কবাট দিলে, সে দেশ তো পাই “বাহির গায়ে কাম নাই চল ভিতর গায়ে যাই’ সাপের মণি বাহির করিলে হারাই যদি মণি মণি হারাইলে তবে না। বঁচিয়ে ফণি ৷ अऊन कcद्ध इडन ब्रांथों वांश्द्धि कब्र नश्व প্ৰাণের ধনকে বার করিলে চৌকী দিতে হয় ৷ লোচন বলে ভাবিস কেনে, ঢোক আপনার ঘয় হিয়ার মাঝে গোরাচাদে মন ডুবায়ে ধর ।” ইহা অবস্থার কথা, ভাষার জ্ঞানের দ্বারা ইহা বুঝান যায় না । চৈতন্তের যুগে পরবর্তী গীতি-কবিদের মধ্যে একমাত্ৰ লোচনদাসই চন্দিদাসের ভাবের ও রসের অনুভূতির পর্দায় গাইয়াছিলেন, তাহার পর আর সমগ্ৰ গৌর-পদ-তরঙ্গিণীর ভিতর এমন কেহ নাই, যাহার কবিতায় সে অনুভূতির লেশমাত্র পাওয়া যায়। সুর নামিয়া যাইবার কারণ কি ? কারণ যে ঠিক কি, তাহা বুঝা কঠিন। তবে একটা কারণ বোধ হয়। এই, ষে ফুল শতযুগ ধরিয়া ফুটিতে চাহিতেছিল, যাহার জন্য সেই সন্ধ্যা-ভাষায় আধো আলো আধো আঁধারের ভিতর হইতে ভাব ফোট-ফোট হইয়াও, ফুটে ; নাই, তাহার পর দিন গেছে। মানব মনের ভিতর দিয়া অজ্ঞানে সে ভাবের ধীরে ধীরে ক্ষুদ্রণ হইয়াছে, ধীরে ধীরে কত যুগ অন্ধকার ও আলোকের, আশা ও নিরাশার ভিতরে চণ্ডিীদাসে দেখা দিয়াছে, বিদ্যাপতির রূপ রসাভাসে ফুটিয়াছে। সেই ফুল যখন চৈতন্তে আসিয়া ই সাক্ষাৎ ফুটিয়া দশদিশি গন্ধে ভরিয়া গেল, তখনই সেই শত শত যুগের কল্পনা সত্যরূপে প্ৰতিভাত হইল। তাহার পূর্ণ হইবার আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতর হইয়া প্ৰকাশ হইল। ইহার পর ভাগবত ধৰ্ম্মের সহিত রামানুজের যে লীলা ভক্তির ভাব দেশে আসিয়াছিল, সে ভাব এখনও পুর্ণভাবে মুঞ্জরিত