পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“বাঙ্গলার গীতিকবিতা” (ਫਠੇ ਦੁਣ ) আমার বাঙ্গলার এক চিরন্তন আদর্শ আছে । বাঙ্গলার যেমন শুমলগ্ৰী রূপ, যেমন সবুজ তৃণের কোমলতা, নীল আকাশ আর গঙ্গার উচ্ছল বারি, আমার বাঙ্গলার আদর্শও তেমনি সেই শু্যামল শ্ৰী, সেই-- “নব রে নব, নিতুই নব, যখনি হেরি তখনি নব’ হেরিয়া চোখ জুড়াইয়া যায়। বাঙ্গলার গানের সঙ্গে বাঙ্গলার প্রাণের যে অবিচ্ছিন্ন অচিন্ত্য-ভেদাভেদ সম্পর্ক আছে, সেই মিনিসুতার মালার গাঁথনির কথা আপনাদের শুনাইবা বলিয়া, আজ। আপনাদের আদেশ শিরোধাৰ্য্য করিয়াছি । বাঙ্গলার এক অখণ্ড সীতা আছে, সেই সত্য, যুগে যুগে যখনি যাহার মরমের নিভৃত আলোকে ফুটিয়া উঠিয়াছে, সে তখনি এই মাটীর প্রাণের সঙ্গে প্ৰাণের নিবিড় পরিচয় পাইয়া আত্মার সান্নিধ্য লাভ করিয়াছে। শুধু তাহাতেই নিশ্চিন্ত হয় নাই, প্ৰাণে প্ৰাণে সেই মিলনবাণী “লোকহিতায়’ ‘জগতে ধৰ্ম্মস্থাপকায়’ দেশে দেশে বিলাইয়া দিয়াছে। সেই পরিচয়েই ধৰ্ম্মের স্থাপন, সেই পরিচয় হইতেই মানুষের সমাজ, শ্রদ্ধা, সংস্কার। সেই মিলনেই এই অনন্ত অখণ্ড সচ্চিদানন্দ বিগ্রহের রসমূৰ্ত্তি বুকের ভিতর অ্যাকিয়া লইয়া জাতি আপনাকে বিকাশ করিতে থাকে। ৰাঙ্গলার একদিন ছিল, যে দিন বাঙ্গালী আপনাকে সেই পরিচয়ের জোরে জগতের কাছে বাঙ্গালী বলিয়া মাথা তুলিয়া দাড়াইয়াছে। আজ