পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলার গীতিকবিতা ዓ› তাহার বুকের ভিতর হইতে সেই সচ্চিদানন্দ চিন্ময় মূৰ্ত্তি কোন অবসাদের তমোগুঢ় অন্ধকারে মুছিয়া গিয়াছে। সেই যে বাঙ্গলা তাহার নিজের মাটীর পরিচয় ভুলিয়া গেল, সেই হইতেই এই দিনগুলা আধারেই কাটিতেছে ; কিন্তু দীপের ধৰ্ম্মই জালিয়া উঠা । আত্মার অন্তরের পরতে পরতে যে দীপ জ্বলিয়া আলোক বিকিরণ করে, সে আলোকের ধৰ্ম্মই অন্ধকারকে জালাইয়া দীপ্ত করা । হাজার হাজার বছরের অন্ধকার এই দীপের আলোয় মরিয়া যায়। সকল মানবই সেই পরিচয় লাভের জন্য উন্মুখ হইয়া রহিয়াছে। সকলকেই একদিন সেই সাযুজ্য-পরিচয়ের জন্য আত্মার আত্মার সঙ্গে মুখোমুখি হইতেই হইবে। সেই মধুর পরিচয়টি করাইবার জন্য মাটি অহরহ সজাগ ব্লছিয়াছে। তাহার আর সে চেষ্টার BBD DDS BB DDS BDBD DDS BBY BD S SBDDBBDBD DBBD মত সে তাহার জন্যই ব্যস্ত। তাই মাটি আমাদের শুধু শরীর দান করে না, আমাদের মন-প্ৰাণের নূতন জন্ম দিয়া নবজীবন দান করে। শুধু মাটী নহে। মাটিই আমার সঙ্গে অনন্ত রসামুৰ্ত্তিরূপে আমার প্রাণের সঙ্গে রাসলীলাভঙ্গে একদিন সেই প্ৰাণামণি দ্বীপখানি জালাইয়া দেয়। সেই দীপ একদিন বাঙ্গলার কবিচিন্তামণির বুকের ভিতর জ্বলিয়াছিল, সেই দীপ একদিন মহাপ্ৰভুর বক্ষের মণিকোটায় জ্বলিয়াছিল, সেই দীপের আলোক মুসলমানযুগের আবহাওয়ার ভিতরেও রামপ্রসাদের প্রাণের ভিতর জ্বলিয়াছিল, সেই দীপ এই ফেরঙ্গ-যুগেও গঙ্গাতীরে পঞ্চবটীতলে জ্বলিয়া উঠিীয়াছিল। বাঙ্গলার সাধনার ধারা এমনি করিয়া ধীরে ধীরে রূপরসশব্দস্পর্শগন্ধের ভিতর দিয়া এমনি করিয়া চলিয়া আসিতেছে এই সাধনার ধারাতেই বাঙ্গলার গানের জন্ম । আজ। আপনাদের আমি সেই বাঙ্গলার জীবনের ধারায় ষে সাধনার গান, সমস্ত দেশকে ও দেশের প্রাণকে সজাগ করিয়া রাখিয়াছে, তাহারই কথা কহিব।