পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলার গীতিকবিতা ԳԾ) ফেরঙ্গ বাঙ্গলার ফেরঙ্গ সাহিত্যের মাঝে অকস্মাৎ বিজলী-বালকের মত কিরণচ্ছটায় উদ্ভাসিত মায়ের শ্ৰীক্লপ দেখিলাম ; সেই পদ্মালয়া, সেই সরস্বতী, সেই অন্নপূর্ণ, সেই সিংহবাহিনী, সেই ভীমা, ভয়ঙ্করী রুধিরান্দ্রেবসন করালী-আর দেখিলাম সেই মদনমোহন,- “বিহি সে রসিয়া তাহতে পশিয়া १gल ciश्iश cश् ।' সে যুগল রূপের কি ওর আছে! আধশ্যাম, আধরাধা যেন মেঘ-অঙ্গে বিজলী মিলাইতে চায় ; মেঘ যেন বিজলীর ঝলক দিয়া হাসিয়া উঠে, প্ৰতি মুহুৰ্ত্তেই নব নব রূপ ফুটিয়া উঠিতে চায়, সকল রূপ প্ৰতিনিমিষেই সেই যুগল রূপে মিলাইয়া যায়। “মিলল দুহু তনু কিবা অপরূপ চকের পাওল চান্দ পাতিয়া পিরীতি-ফাদ কমলিনী পাওল মধুপ ৷” আর বাঙ্গালীর কবি চণ্ডিদাস সেই রূপের পাশে রহিয়া, ভাবে গদ্য গদ হইয়া, 1 “চামর ঢুলীয়ত।” এই ছবি বাঙ্গলার নিজস্ব। যে মরম জানে, সে রসিক এই রসের কথাও জানে। সেই প্ৰাণের ধারার সঙ্গে সাধনাঙ্গের ধারার পরিচয় রামপ্ৰসাদেরও ছিল । রামপ্রসাদ তাই গাইয়াছিলেন,- “গিরিবর। আর পারি না হে, প্ৰবোধ দিতে উমারে । উমা কেঁদে করে অভিমান, নাহি করে স্তনপান, নাহি খায় ক্ষীর ননী সরে,- অতি অবশেষে নিশি, গগনে উদয় শশী বলে উমা ধরে দে উহারে । আমি পারি। নে হে প্ৰবোধ দিতে উমারে।”