পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ8 কাব্যের কথা এ সব গান বাঙ্গলার প্রাণের পঞ্জর হইতে বাহির হইয়াছে, জীবনের সঙ্গে এ রিসের অঙ্গাঙ্গী ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। আজ বাঙ্গল সেই প্ৰাণের প্রাণকে তাহার সাহিত্যের-তাহার জীবনের সেই রূপ, যে রূপের চরণে,— skriv भनन भूद्धछ। *tiश्न,' সেই রূপ ভুলিয়া মরিতে বসিয়াছে, তাহাকে বঁাচাইতে হইবে । নিজেদের বঁাচার মত বাচিতে হইবে। শুধু একটা কাব্যের ধােচা দেখাইয়া, রসবোধের রসিক হইয়াছি বলিলে, প্ৰাণ বুঝে না । আত্মীয় আত্মীয় রমণে সে রস উপভোগ হয় না । মনুষ্যজীবনের ষে চরম পরিচয়, তাহার পথে শুধু অহঙ্কার ও আত্মম্ভরিতা আসিয়া ব্যবধান করিয়া দাঁড়ায়। তাই এই মিথ্যাময় ফেরঙ্গ-সাহিত্য হইতে বাঙ্গলার জীবনকে মুক্ত কবিতে হইবে। আজ তাহারি বাৰ্ত্ত আমি বহন করিয়া আনিয়াছি । আমি প্ৰাণে প্ৰাণে যে অনুভূতি দ্বারা-সাধনের দ্বারা জীবনের সে রূপের যে পরিচয় পাইয়াছি, আমি বাঙ্গালী, বাঙ্গলাকে তাহা শুনাইবার জন্য আমি সমস্ত প্ৰাণ-মন দিয়া প্ৰস্তুত হইয়াছি । আজ এই তমসাচ্ছন্ন পুঞ্জীভূত অন্ধকারের তামসিকতার দিনে সকল রাগ-দ্বেষ-বিজ্জিত হইয়া আমাদের জীবনের ধারাকে বাচাইতে হইবে। এই ভাবের অপচারের দিনে, ফেরঙ্গ-সাহিত্য ও জীবনের দিনে সমগ্ৰ শক্তিকে একবার অন্তমুখী করিয়া বাঙ্গলার সেই প্ৰাণের প্রাণকে খুজিয়া বাহির করিতে হইবে। হে বাঙ্গালী, বাঙ্গলার সেই প্ৰাণের গানের সন্ধান করা ! দেবতা চায় অমৃত, অসুরে চায় অনুত । মানুষের এই দেহ-মন- প্ৰাণ প্ৰতিষ্ঠাত্ৰয়ের ভিতর অহোরাত্র যে যুদ্ধ চলিয়াছে, সে যুদ্ধে জয়ী হইবার, মহতো ভীতি হইতে নিজেদের বাঁচিবার জন্য বাঙ্গলার সবুজ আঙ্গিনায় দাড়াইয়া পুৰ্ব্বাস্ত হইয়া দিনের আলোকে