পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գեր কাব্যের কথা এই বাঙ্গলাই শ্ৰীচৈতন্তকে দিয়াছে, এই বাঙ্গলাই আবার শ্ৰীরামকৃষ্ণকে দিয়াছে। এই বাঙ্গলাই একদিন সমস্ত প্ৰাচ্যকে ভাবে, জ্ঞানে ধৰ্ম্মেকৰ্ম্মে অজেয় নেতার মত চালাইয়া আসিয়াছে। বাঙ্গলার স্বাধীনতাতাহার আত্মার আত্মস্থ-সংবিতের অনন্ত প্রেমের প্রতিষ্ঠায় । এই অনন্ত প্রেমের প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মার জীবন্ত রসানুভূতির জন্স বাঙ্গল যে তপস্যা করিয়াছিল, সেই তপস্যাই কত বিচিত্র রূপে বাঙ্গলার প্রাণে ফটিয়া উঠিয়াছে। বাঙ্গলার সাধন , বাঙ্গলার স্বাধীনতার আদর্শ সেইখানে বাঙ্গলার কল্পকলার ভিত্তিও সেইখানেই । সেইখানেই, আমাদের গীতিকবিতার ও গানের প্রাণ । মনুষ্যজীবনের স্বাধীনতার প্রতিষ্ঠা কথন সাম্রাজ্য-প্ৰতিষ্ঠায় হয়। নাই- হইবেও না। শুধু পরের দাসত্বের বোঝা ও শিকল হইতে নিজেকে রক্ষা করিতে পারিলেই তাহান্তে জীবনের স্বাধীনতা-রক্ষা হয় না । মানুষের ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম সকল প্ৰবৃত্তির সকল রসের অনুভূতির, সকল যাতনার উপরে, সকল ভোগের উপরে নিজেকে-নিজের আত্মাকে প্ৰতিষ্ঠ{ করিতে মা পারিলে স্বাধীনতা অর্থহীন দেহভোগীর প্রাণহীন বিলাস ভৃিন্ন আর কিছুই নহে। মানুষের মনুষ্যত্ব তাহার আত্মার সংবিতের উপরেই প্রতিষ্ঠিত। যে যুগে চণ্ডিদাস ও রামপ্রসাদ চৈতন্য ও রামকৃষ্ণ জন্মিয়াছিলেন সে যুগও-বাঙ্গলার স্বাধীনতার যুগ নয়, কিন্তু দারিদ্র্যেরপরাধীনতার-সমাজের সঙ্কীর্ণতার সমস্ত সঙ্কোচ ও ব্যবধানের মধ্যেই তঁহার জন্ম হইয়াছিল। তঁহাদের প্রাণের স্বাধীন ইচ্ছাকে দারিদ্র্য, পরাধীনতা সমাজের পেষণ কিছুতেই পাড়িতে পারে নাই। এই সব মহাপুরুষদের প্রাণ-বেদীমূলে মাটি যে সমিদাভার আহরণ করিয়া দিয়াছিল, র্তাহার একনিষ্ঠ সাধকের ধারায় নিজেদের মাটির সম্পর্কে এক করিয়া সে প্ৰেমাগ্নিতে আহুতি দিয়াছিলেন । কোন সমাজ সংহিতা, কোনরূপ