८ थ ܓbr কল্পকলার শ্রেষ্ঠত্ব সম্পাদনা করিয়াছে। আজ এই ইউরোপীয় অবভাসের দিন আমি জোর গলায় বলিতে পারি যে, বাঙ্গলার ঘরে সে দীপ আবার জলিয়াছে। জানিও ইহাই বাঙ্গলার অভয়-বাণী। এই বাণীকে সত্য ও সার্থক করিতে হইবে । " আর একটা কথাও মাঝে মাঝে শুনিতে পাই যে, বৈষ্ণব কবিতার মধ্যে ইন্দ্ৰিয়ের গন্ধ বড় বেশী। আধুনিক কবিতার আয় এখন instinct এর । স্ব-স্বভাবের ) পৰ্য্যায়ে নাই ; তাহা এখন উৰ্দ্ধগ, অতীন্দ্ৰিয়ের সুবাসে মত্ত । ইন্দ্ৰিয় হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া কোন ভাব কোন সত্তা, আজি ও মানুষের ভিতরে অনুভব হয়, এমন বিশ্বাস আমার নাই । ইন্দ্ৰিয় যাহার সৃষ্টি, অতীন্দ্ৰিয়ও তঁহারই সৃষ্টি। ইন্দ্ৰিয়াকে অস্বীকার করিয়া অতীন্দ্ৰিয়ের উপর জীবনের কোন ভিত গাথা যায় কি ? কেহ আজিও পারিয়াছেন কি ? রক্ত-মাংসকে, মাটিকে অস্বীকার করিয়া মানুষের সাধু সোহাগ অস্বীকার করিয়া, কাব্যলোকে কোন শ্রেষ্ঠতর সৃষ্টি হইয়াছে বলিয়া আমার জানা নাই। তবে আধুনিক নকল ইংরাজী-নবীশদের BBDB BBDD BD KSDS DBBDS DSDSDSBBSDBDS DBBuLS SDBDB BDD শুনিতে হইতেছে যে, বৈষ্ণব কবিতা erotic । বাঙ্গলার সাধনা চিরকালই ইন্দ্ৰিয়াকে সত্যবস্তুরূপে গ্ৰহণ করিয়া, ইন্দ্ৰিয়ের সকল রস আহরণ করিয়া ইন্দ্ৰিয়ের মুখে বল্প দিয়া চালাইয়াছে। প্ৰত্যেক ইন্দ্ৰিয়কে প্ৰতিষ্ঠা করিয়া, তাহার সকল বৈচিত্র্যের পূর্ণ ক্ষুৰ্ত্তি দিয়া তাহাজের সকল বিভিন্নতাকে সে এক কারিয়াছে ৷ বহুর মধ্যে, বহু বিচিত্র রসের মধ্যে বাঙ্গল সমরসের আস্বাদন করিয়াছে। ইন্দ্ৰিয়ের সত্য খেলাকে বাঙ্গলা কখনও অস্বীকার করে নাই। বৈষ্ণব জানে যে, তাহার মনে, প্ৰাণে, দেহে এক অচিন্ত্য দ্বৈতাদ্বৈত লীলা করিতেছে, সে যন্ত্র, যন্ত্রী তাহার প্ৰাণের প্রাণারাম হইয়া আনন্দ-রস লীলাচ্ছলে ভোগ করিতেছেন। এই
