পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दांत्रिव्लांद्र कोडिक्रुदिङ, କର6: “ভকতি রতনখনি, উড়াইয়া প্ৰেমমণি, নিজগুণ সোণায় মুড়িয়া। উত্তম অধম নাই, যারে দেখে তারি ঠাঞি, দান করে জগত বেড়িয়া৷” লোচনদাস গাইয়াছিলেন“অক্রোধ পরমানন্দ নিত্যানন্দ রায়, অভিমানশূন্য নিতাই নগরে বেড়ায়। চণ্ডাল পতিত জীবের ঘরে ঘরে ষাঞিা, হরিনাম মহামন্ত্র দিছে বিলাইয়া ৷” ২. এই যে অভিমানশূন্য বৈষ্ণবের প্রাণ, এই যে অযাচিত প্ৰেমদান এ আদর্শ বাঙ্গলারই নিজের। নিত্যানন্দ অবধূত তাহারি জীবন্তজাগ্ৰত- রূপান্তরে মূৰ্ত্তিপ্ৰকাশ ছিলেন। A. অবশ্য, এ কথা সত্য যে, এই বৈষ্ণব-সাধনা বাঙ্গলা নিজের আত্মার অধ্যাত্মিসাধন হইলেণ্ড, তাহার একটা গতি আমরা ধরিতে পারি। সকল শক্তির ধারাই এক। একবার করিয়া কুটস্থ, একবার করিয়া কুৰ্ম্মবৎ সঙ্কোচ, আর একবার করিয়া সম্প্রসারণ । চণ্ডিীদাসের জনমের পর ষে ভাব, যে প্রোমের সাধন তাহার সঙ্কোচ হইয়াছিল, আবার সম্প্রসারিত হইয়া শ্ৰীচৈতন্ত্রে তাহার পূর্ণ প্ৰকাশ হইয়াছিল। সেই ভাব বাঙ্গলাকে কাব্যে, সাহিত্যে, স্থাপত্যে, ভাস্কর্য্যে সকল রূপের সৃষ্টির মধ্যে প্রসারিত করিয়া, আবার সঙ্কুচিত হইয়াছিল। শ্ৰীচৈতন্যের সময়েই, বাঙ্গলার সকল সমৃদ্ধি ছিল, এ কথা বলিলে বোধ হয় অত্যুক্তি হইবে না । তাহার পর একটা যুগ আলো ও অন্ধকারে কাটিল। শক্তি আবার কুৰ্ম্মবৎ সঙ্কোচে পরিণত হইল। শাক্ত ও বৈষ্ণবের পরস্পর বিবাদ, জাতির নানারূপ হীনতার মধ্যে মুসলমানের অত্যাচার, সব মিলিয়া দেশ আবার অন্ধকারে ডুবিয়ছিল ; নিবিড় তমসাচ্ছন্ন অন্ধকার! সেই অন্ধকারের মাঝেই রামপ্ৰসাদ আসিলেন । কিন্তু তাহার মধ্যে আবার মুকুন্দরাম, কাশীরাম, ঘনরাম, রামেশ্বর বাঙ্গলার কাব্যের ধারাকে অন্যদিকে পুষ্ট করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু বাঙ্গলার প্রণের গানের সুর তখন