পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলার গীতিকবিতা * অতি অবশেষে নিশি, গগনে উদয় শশী বলে উমা ধরে দে উহারে । কঁদিয়া ফুলালে আখি, মলিন ও মুখ দেখি মায়ে ইহা সহিতে কি পারে | আমি পারি•ে হে প্ৰবোধ দিতে উমারে ৷ আয় আয় মা মা বলি, ধরিয়ে কর-অঙ্গুলি (*CV5 5j: Ri stír. C<sto: C3 K আমি কহিলাম ত্যায়, চাদ কি রে ধরা যায়, ভূষণ ফেলিয়া মোরে মারে। উঠে বসে গিরিবর, করি বহু সমাদর গৌরীরে লইয়া কোলে করে ॥ সানন্দে কহিছে হাসি, ধর মা এই লও শশী মুকুর লইয়া দিল করে। মুকুরে হেরিয়া মুখ, উপজিল মহাসুখ বিনিন্দিত কোটি শশধরে ৷ শ্ৰীরামপ্রসাদ কয়, কত পুণ্য-পুঞ্জচয় জগত জননী যার ঘরে। কহিতে কহিতে কথা, সুনিদ্রিতা জগন্মাত৷ শোয়াইল পালঙ্ক-উপরে {{” এই বাৎসল্য-রাসের চিত্র ও গানটিকে এই ফেরঙ্গ-যুগে ঘোরো কবিতা বলিয়া ব্যঙ্গ করা সহজ, কিন্তু যাহারা সত্য মাতৃত্ব, পিতৃত্ব ও বাৎসল্য-রস জীবনে প্ৰাণে প্ৰাণে উপলব্ধি করিয়া প্ৰাণের ভিতর অনুভূতিতে সে রসআদর্শের প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন, তাহারা জানেন, ইহার তুলনা কেহ দিতে পারে না। প্রথম ইহা সত্যই বাঙ্গলার নিতান্ত ঘরের ছবি এবং সেই