পাতা:কাম-সূত্রম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R, কাম-সূত্ৰম । কথাই আছে ; ত্ৰিবৰ্গবাদ বহু প্ৰাচীন, চতুৰ্ব্বৰ্গবাদ প্রাচীন হইলেও ত্ৰিবৰ্ণবাদে পরে প্রতিষ্ঠিত। ধৰ্ম্ম অর্থ কাম—এই ত্ৰিবৰ্গ, আর ধৰ্ম্ম অর্গ কাম মোক্ষ-— চতুকবর্গ। র্যাহারা ত্ৰিবৰ্গবাদী, তঁহারা যে মোক্ষ মানেন না তাঙ্কা মহে, কিন্তু নশ্বর স্বৰ্গ যেমন ধৰ্ম্মবর্গের অন্তৰ্গত, অবিনাশী মোক্ষ ও তদ্রুপ, ইহাই তাহাদিগের মত । ত্ৰিবৰ্গ—সুখ ও দুঃখনিবৃত্তির উপায়, স্বৰ্গাদি সুখ বা মোক্ষ উপেয় ; উপেয় মাত্ৰ লইয়া বর্গ করিলে হইলে, স্বর্গের একটা বৰ্গ, পার্থিব সুখের একটা বর্গএইৰূপ শ্রেণী হওয়া উচিত ছিল, তাঙ্কা নাই ; কিন্তু তিনটি উপাসুবৰ্গ আছে, ইষ্ঠাব মধ্যে উপেয় মোক্ষকে জন্ডিয়া দিলে বিভাগ-সঙ্কর হয়। অর্থাৎ বাবা, দাদা, আমি ও দিদিমা, আমরা এই চার ভাই-ঠিক সেই প্রকার ভাগ হয়। এই কারণে ত্ৰিবৰ্গবাদই যুক্তিযুক্ত। তবে অর্থ ও কামবর্গ যেমন নানাবিধ, ধৰ্ম্মবর্গও সেইরূপ নানাবিধ, তন্মধ্যে মোক্ষ-হেতু-ধৰ্ম্মবৰ্গ নিরাত্তি-প্রধান, আর স্বৰ্গাদি{হতু ধৰ্ম্মবৰ্গ প্ৰবৃত্তি-প্রধান, এই ভেদ আছে এই মাত্র। বেদ হইতে আরম্ভ করিষা যত শাস্ত্ৰগ্ৰস্থ আছে, সর্বত্রই এই ত্রিবর্গের মধ্যে কোন না কোন বর্গেরই অধিকার । ত্ৰিবৰ্গ-সম্বন্ধহীন গ্রন্ত–শাস্ত্ৰ হইতে পারে না, তাই উন্মত্ত-প্ৰলাপ । যে শাস্তু মানব-সমাজের পরম শ্রদ্ধেয়, সেই শাস্ত্ৰ যাহাদিগকে আশ্রয় করিয়া বৰ্ত্তমান, সেই ত্রিবর্গ কত উচ্চ, কত উৎক্লষ্ট, কত মইন, তাই নমস্কৰ্ত্তার মস্তক ভঁহাদিগের নিকট অবনত । অতএব এই নমস্কার-সুত্ৰ, ইহা মঙ্গলাচরণ। এক্ষণে আপত্তি হইতে পারে, মঙ্গলাচরণে সাধারণতঃ দেবতার নমস্কার থাকে, দেবতা তাহতে প্রীত হইয়া গ্ৰন্থরচনার বিস্ত্ৰ দূর করেন, এইজন্যই সূত্র গ্রন্থারম্ভে নমস্কার-প্ৰথা। কিন্তু অচেতন ধৰ্ম্ম অর্থ ও কামকে নমস্কার করিলে ফল কি ? তঁহারা ত বিস্ত্র নিবারণ করিবেন না। ইহার উত্তর এই যে, দেবতারা এত নমস্কারের কাঙ্গাল নহেন যে, একটি নমস্কার তুমি করিলে, আর তাহারা তুষ্ট চষ্টয়া তোমার বিস্ত্র দূর করিযী দিলেন। তবে হয় সত্ত্বগুণের অভু্যদস্য-মানুষ অহঙ্কারে আত্মহারা, ‘কোহন্তোহস্তি সদৃশো ময' আমিই সর্ববশ্ৰেষ্ঠ, এই ভাবই অহঙ্কার, নমস্কার সেই অহঙ্কার পরিতাগের বা সাত্ত্বিকভাবেরণ হেতু,-যোগ্য নমস্কারে সত্ত্বগুণের অভু্যদয় -নিৰ্ম্মল বুদ্ধির বিকাশ হয়, তাহাঁই গ্ৰন্থ-রচনার প্রধান সহায় ; বুদ্ধিব্যাঘাতই প্ৰধান বিস্ত্ৰ। নমস্কার বা অৰ্থ শব্দ প্রভৃতি