VSS কাম-সুত্ৰম্ কামাপদবাচ্যরূপে সামান্যতঃ সংগৃহীত হইল। ঐ দ্বিবিধ ইচ্ছা কিরূপে উৎপন্ন হয় এবং ইচ্ছার উৎপত্তিস্থান বা সমবায়ী কারণ কে ?—তাহা বুঝাইবার জন্য সূত্রে অবশিষ্টাংশ যোজিত হইয়াছে। ‘আনুকূল্যতঃ-শ্ৰীতিজনকতয়া কাম:’ এই অংশ হইতে ইচ্ছার উৎপত্তিকারণ কথিত হইয়াছে ; যে বিষয়ের সহিত ইন্দিয়-সম্বন্ধ দুঃখ-জনক-সেই বিষয়ে ইচ্ছা জন্মে না, দ্বেষ জন্মে ; এই কারণে-প্রীতিজনক ভাবে যে সম্বন্ধ তাহার সন্নিবেশ । শ্ৰীতিজনক আনুকৃলতঃ সম্বন্ধ হইলে সুখজ্ঞান হয়, তাহা সুখেচ্ছার কারণ এবং সেই সুখেচ্ছা! সুখসাধন বিষয়ে ইচ্ছার কারণ-অতএব ঐ যে গ্ৰীতিজনক বিষয়েন্দ্ৰিয়সঙ্গন্ধ, ইহ!—দ্বিবিধ ইচ্ছারই মুলে বর্তমান। কেবল বিষয়েন্দ্রিীয়-সম্বন্ধ হইলেই যে সুখ হয় তাহা নহে—ঐ ইন্দ্ৰিয় মনঃ-পরিচালিত হইলেই তবে উহা হইতে সুখ কষ্টতে পারে। অন্যমনস্ক অবস্থায় নয়ন-সনিকৃষ্ট বিষয়েবও প্ৰত্যক্ষ হয় না, তাহাতে সুখ হয় না। অন্যমনস্ক অবস্থায় নয়ন, মনঃপরিচালিত নহে । এই জন্য “মনসাধিষ্ঠিতানাং” পদ আছে। ইচ্ছা মনের ধৰ্ম্ম কি ইন্দ্ৰিয়ের ধৰ্ম্ম বঃ অন্য কিছুপ ধৰ্ম্ম ইহার উত্তর-নির্ণয়াৰ্থ সুত্ৰকার বলিয়াছেন, “আত্মসংযুক্তেন মনসা” – ইচ্ছাদির প্রতি আত্মা সমবায়িকারণ আত্মমনঃসংযোগ-অসমবায়িকারণ-এবং সুখজ্ঞানাদি নিমিত্তকারণ। এই “আত্মসংযুক্তেন মনসা” ইহাব দ্বারা আয়ুমনঃসংযোগ যে অসমবায়িকারণ তাহ সুচিত হওয়ায় আত্মাকে সমবায়িকাৰণ বলিয়া জ্ঞাপন করা হইয়াছে, নতুবা আত্মার কথাই থাকি ন্য না । আন্ধু “সমবায়িকারণ” বলিয়। ইচ্ছা আত্মারই ধৰ্ম্ম, মনঃ বা দেহের নহে ঈষ্টা কথিত হইল । সমবায়িকারণ অসনাবায়িকারণ ও নিমিত্তকারণের ক০ - ন্যায় বৈশেমিকের গ্রন্থাবলীতে আছে। কাৰ্য্য যাহাতে উৎপন্ন হয়, তাহাই ঐ কাৰ্যোল সমবায়িকারণ, সমবায়িকারণে সদগ্ধযুক্ত হইয়া যাহা ঐ কাৰ্য্যের জনক তাহৰ অসমবায়িকারণ -এতদুভয়-ব্যতীত যে যে কারণ তাহা নিমিত্তকারণ-—( ভাষাপরিচ্ছেদ) ইচ্ছারাপ কাৰ্য্য আত্মাতে আছে, আত্মা সমবায়িকারণ, আত্মা ও মনে যে সংযোগ তাহা আত্মাতে ও আছে ; কারণ সংযোগ দ্বিঃদু’টি বস্তুতে থাকে-ঐ যে আত্মমনঃসংযোগ অর্থাৎ সংযোগ-বিশেষ তাহা
পাতা:কাম-সূত্রম্ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/৪৮
অবয়ব