Տ8 কাম-সূত্ৰম্। সাধন তখন তাহা অর্থবর্গের অন্তৰ্গত; আবার যখন কামকলারূপে ব্যবহৃত তখন কামবৰ্গ, এইরূপে একই সঙ্গীত একের কামবৰ্গ ও অপরের অর্থবৰ্গ মধ্যে পরিগণিতও হইতে পারে। রমণী-রূচিৎ অর্থবৰ্গমধ্যে পরিগণিত হইলেও কামাবলম্বন রমণী অনেক স্থলেই অর্থবৰ্গ নহে, কারণ, সে যে কামী পুরুষেরও অনেক স্থলেই দুর্লভ ; ভাব বা অবস্থা বিশেষে যাহা অর্থবার্গের অন্তৰ্গত, ভাব বা অবস্থা-বিশেষে তাহা ও কামবর্গের অন্তর্গত হইতে পারে, এই ভােব পূর্বেই জ্ঞাপন করিয়াছি। ভূমি-হিরণ্যাদি প্রধান কামের অন্তর্গত হয় না, রমণী-বিষয়ে যে লিপস তাহাও প্রধান অর্থের অন্তৰ্গত নহে, অতএব অর্থবৰ্গ ও কামবৰ্গ আর অভিন্ন হইতেছে না। প্ৰধান যে কাম-যাহাতে সুখবিজড়িত অভ্ৰান্ত প্ৰতীতি হয়সুত্ৰকার বলিয়াছেন, তাহাতেও সেই সুখ আভিমানিক, গৌতম-সুত্রে যে “দুঃখবিকল্পে সুখাভিমানাচ্চি” ( ৪১৷৷৫৮) বলিয়াছেন, ইহা তাহারই অনুবর্তন ; বাৎস্যায়ন মুনি কামসূত্র লিখিতে বসিয়াও বৈরাগ্যের বীজ বপন করিতেছেন, বলিতেছেন, বাপু হে, সুখ বলিয়া যাহা ভাবিতেছ-তােহা দুঃখের রূপ, দুঃখকেই সুখ ভাবিতেছ ; তাই তিনি বলিলেন-ঐ সুখ আভিমানিক । আভিমানিক কেন ? তবে শুন ; ঐ কাম যদি পরকীয়াদি-ঘটিত হয় তাহা * নরকের হেতু; সে যে ঐ সুখাপেক্ষা মাত্রায় কত অধিক কত তীব্ৰ তাহা ত এখন বুঝিতেছি না।--তাহা না হইলে ও ভাব- উহা কতক্ষণ,-সেই ক্ষণ অতীত হইলে-সে সুখ কোথায় গেল। তারপর কামের ছলনা, স্থার্থপরতা, কলহ, রক্তপাত-কত অনর্থ আছে, আর ও ভাব, কি ঘুণিত ব্যাপার-তাহার বিচার করিতেছি না-মৃত্যু হস্তপ্রসারণ করিয়া আছেন। অমূল্য সময় রুথ নষ্ট করিাতোছ-তোমরা কল্পিত সুখের জন্য প্ৰকৃত সুখ নষ্ট ক’রতেছ— “যচ্চ কামসুখং লোকে যাচ্চ দিব্যং মহৎ সুখম ৷ তৃষ্ণাক্ষয়সুখস্যৈতে নাৰ্হত; ষোড়শীয় কলাম।” ‘অর্ষপ্ৰতীতিঃ” এই কথাটির অর্থ ‘অর্থপ্ৰতীতিহেতুঃ' এই অর্থ-প্ৰতীয়তে আনেন এই কারণ বাচ্যে ক্তিম ইলেও হয়, প্ৰীতি শব্দের প্রতীতিহেতুতে লক্ষণ
পাতা:কাম-সূত্রম্ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/৫০
অবয়ব