fastest 8N) ফল দর্শনে যে শাস্ত্রের প্রামাণ্য অবধারিত,-সেই শাস্ত্র অবিশ্বাস্য হইতে পারে না-সেই শাস্ত্ৰ-প্রমাণে ধৰ্ম্ম আচরণীয়। যে চাৰ্বাক-দলভুক্ত, তাহারও বেদাক্তি শাস্ত্রাবলম্বন ব্যতীত উপায় নাই, কারণ তাহা হইলে মানব সমাজ বিশৃঙ্খল ও বিধ্বস্ত হইয়া পড়ে : শাস্ত্ৰে যে বৰ্ণাশ্ৰম ধৰ্ম্ম আছে-তােহাঁই মানব সমাজরক্ষার একমাত্র উপায়, যদি অর্থ ও কামই পুরুষাৰ্থ হয়-ধৰ্ম্ম যদি বিলুপ্তই হয়, তাহঃ হইলে –পরস্ত্ৰী-হরণ, পরন্দ্ৰব্য-হরিণ, গুপ্তহত্যা এ সকল ত অনিবাৰ্য্য হইয়া উঠে। রাজদণ্ড মানবের অন্তঃকরণ শাসিত করিতে পারে না, পাপভয় এবং ধৰ্ম্মে অনুরাগ, ইহাই অন্তঃকরণকে শাসিত বা বিশুদ্ধ করে। যে ব্যক্তি যে ধৰ্ম্মষ্ট অবলম্বন করুক না।--তাহার লৌকিক শুঙ্খলা-স্থাপন বেদাদি শাস্ত্ৰপ্ৰদৰ্শিত পদ্ধতি ব্যতীত অন্যরূপে হয় না। এই জন্য বাচস্পতিমিশ্র বলিয়াছেন,-হে বৌদ্ধ! তোমরাও বেদাদিমূলক আচারের অনেকাংশ অনুবৰ্ত্তন কবিতে বাধ্য হও । আমরা দেখিতেছি, পৃথিবীর এমন কোন সভ্য মানবসমাজ নাই—যেখানে বেদাদিমূলক আচারই অল্প-বিস্তর প্রচলিত নহে। বেদাদি অর্থে-সাঙ্গবেদ, ধৰ্ম্মশাস্ত্র ও দর্শন। বেদের অঙ্গ ছয়টিী-বর্ণাদি শিক্ষাপ্ৰদ শিক্ষাগ্ৰন্থ, ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম-শিক্ষাপ্ৰদ কল্পগ্রন্থ, ব্যাকরণ, নিরুক্ত ( বৈদিক অভিDDSSLYYDBD S0 zBDS DDDBS 0BDD SLLEEELD BBBS S S0 DBKKS মূলক বহু আচার বিদ্যমান ; বেদ ও ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰমূলক বলিবার কারণ এই ষে--বেদই পৃথিবীর আদি ধৰ্ম্মগ্রন্থ। অন্ততঃ ইহা অপেক্ষা প্ৰাচীন ধৰ্ম্মীগ্রস্তের অস্তিত্ব বিরুদ্ধবাদীরাও প্ৰমাণ করতে পারে না । আর এই বেষ্ট ‘; বৈদিক ভাষার প্রভাবে সমগ্ৰ পৃথিবী আলোকিত। অতএব ’বেদাদি শাস্ট্রের প্রভাবে মানবসমাজ রক্ষিত-সমাজের শৃঙ্খলার ক্ষার্থও বেদাদি-উপদিষ্ট ধৰ্ম্ম আচরণীয়। আর যে বলিয়াছ-“ভবিষ্যৎ ফলের আশায় হস্তগত অথ ত্যাগ নিবোধ না হইলে করে না”-ইহা ও একান্ত প্ৰত্যক্ষ-বিরুদ্ধ, তুমি অর্থকামবাদী—তুমি কি এ কথা বলিতে পাের ? তোমার অনুমোদিত কৃষিকৰ্ম্মেক্ষেত্রে বীজ বপন করিতে হয়, হস্তগত শস্যবীজ হাতে করিয়া মাটিতে ছড়াইতে ইল্প-কেন, ভবিষ্যতে অধিক শস্য পাইবে এই আশাতেই তা ? কিন্তু সকল
পাতা:কাম-সূত্রম্ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/৫৯
অবয়ব