পাতা:কাম-সূত্রম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

་ t 8] নিবেশিত। তথাপি এই সুত্ৰকৰ্ত্তা বাৎস্যায়ন মুনি যে কৌটিল্য নহেন, তাঙ্গ । অন্তঃপুর রক্ষার মতভেদ দর্শনে সুস্পষ্ট প্রমাণিত। এবিষয়ে ১ম অধিকৰণ ১য়। অঃ ৪৫ 'সুত্ৰ ৫১ পুঃ এবং ৫ম অধিকরণ ৬ষ্ঠ অঃ ৪৪ সুঃ ৩১ • পূঃ স্থিল:- ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য ; পুনরুক্তি-শঙ্কায় এস্থানে তাহার উল্লেখ করিলাম না। বর্তমানপরিগৃহীত মত এই যে,-“বাৎস্যায়ন কৌটিল্যের নাম হইতেই পারে মণ কারণ বাৎস্যায়ন বাৎস্যগোত্র এবং কেটল্য কুটিলাগোত্ৰ, প্ৰকৃত পক্ষে কোটিল নাম নহে, কোেটলাই নাম । মঃ ম: গণপতি শাস্ত্রী এই মতের প্রচারক , তিনি কেশব স্বামীর অভিধান ও জয়মঙ্গলাটাকার উক্তি প্ৰমাণে এই সিদ্ধান্তে উপনীত কিন্তু “গৰ্গাদিভ্যো যঞ? এইসূত্রের গর্গাদিগণের মধ্যে কুটিল ও নাই, কুটিল ও নাই--অতএব গোত্রার্থে কৌটিলা বা কৌটিল্য প” সিদ্ধ হইতে পারে না ; মৎস্যপুরাণ প্ৰভৃতি গ্রন্থে কুটিল বা কুটিল নামে কোন গোত্রের উল্লেখ ও নাই ; মুদ্রিত মৎস্যপুরাণ পুস্তকে 'কৌটিল’ নামে এক গোত্ৰকার ঋষি আছেন, তিনি বাৎস্যবংশীয় হইতে পারেন ; কারণ বাৎস্য ভগুবংশীয় অন্যতম গোত্ৰকার, “ ঔৰ্ব্বশচ। জমদগ্নিশ্চ বাৎস্যো দণ্ডিনড়ায়নঃ ॥ (भ९छत्रूद्धां° এই বচনে বৎস্যের প্রথমে উল্লেখ করিয়া শৌনকায়মজীবন্তি-কঙ্গোজার (মৎস্যপুরাণ ১৯৫১৮) তৎপরে ‘সাত্যায়নিমালায়নিঃ কোঢ়লিঃ ” (ལ་༤༧ ১৯৫১, ৬ শ্লোকে ) উল্লিখিত । শৌনকায়ন যে বাৎসু) তাহা “শরদ্বচ্ছািনক দর্ভাব্দ ভৃগুবৎসর্গগ্রায়ণেষু” (৪৷৷১১০২ ) পাণিনি সূত্ৰদ্বারা প্রমাণিত। উদাহৰণ ? আছে- - “শৌনকায়নো বাৎস্যশ্যেৎ” কৌটিলিও সেইরূপ হইতে পারেন গাৰ্গাদির মধ্যে গ’গী বৎস ইত্যাদি নিবিষ্ট আছে, এই সকল শব্দ যদি গণবাচক হত্য অর্থাৎ ভদ্বংশীয় ও যদি গাৰ্গাদি শব্দদ্বারা গৃহীত হয়, তাহা হইলে কোটিল’ হইতে পাবে ‘কৌটল্য’ নাহে । রঞ্চান্ধীকরফিঞ্চকুরুভ্যশ্চ । ( ৪।১।১১৪) এই সুত্ৰে, অন্ধক শব্দ যেমন অন্ধকবংশধরের বাচক, নিতান্ত নূতন হইলেও এখানে অংশতঃ সে দৃষ্টান্ত খাটিতে পারে। তাহা না হইলে গোত্ৰকল্পনা ত্যাগ করিতে হয় । আর বৎসবংশীয় কৌটিলিকে যদি গোত্ৰকৰ্ত্তা ধরা যায় তাহা হইলে, ভঁাহাকে বাৎস্যাযন বলিতেও আপত্তি হইতে পারে না। গৌতম গোত্ৰজ ব্ৰাহ্মণকে