পাতা:কায়স্থ-তর্ক সমাধান.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( t ) “উপবীতী ক্ষত্রিরশু দ্বাদশাহেন শুদ্ধতি । মাসেনাকুপবীতশ্চ ক্ষত্ৰিয়ঃ শুদ্ধতে তথ্য ”৯ ৩ রাত্রিঃ ১ পটল । ইহার ভাবার্থ এই যে, ক্ষত্রিয় উপবীতী হইলে, দ্বাদশ দিনে জনন মরণাশোচে শুদ্ধ হইবে, কিন্তু যে সমস্ত ক্ষত্রিয় অনুপবীত তাহার এক মাস অশৌচান্তে শুদ্ধি লাভ করিবে । অনন্তর ইহাও বিবেচনা করা উচিত ছিল যে, সিদ্ধান্ত ভূষণ যখন বঙ্গীয়কায়ম্বদিগকে আচারনিষ্ঠ সচ্ছত্র আখ্যায় অশোচের জন্ত মঙ্গু এবং যাজ্ঞবান্ধ্য স্কৃতি হইতে বৈপ্তের ন্যায় ১৫ দিনের বিধান উদ্ধার করিলেন, তখনই ত বুঝিতে পারিলেন যে ইহঁাবা যখন হারবত্তী হইয়া মচু ও যাত্নবান্ধ্যর আদেশ অবহেলা করিতেছেন, তখন নিশ্চয়ই শূদ্র নহে অন্ত কোন উচ্চতর সংস্কার হীন জাতি । চঞ্জিকার ৩৫ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন—“ন বা ব্রাত্যক্ষত্ৰিয়া ব্রাত্যবৈখ্যা বা তে যদি তে তথা সু্য স্তৰ্হি তে ব্রাহ্মণাদ্যৈরার্য্যৈ বিগর্হিতা: (” ইহার ভাবার্থ এই যে, পারস্কর, গোভিল ও আপস্তম্ব যখন ব্রাত্যদিগকে উপনয়ন অধ্যয়ন, যাজন ও বিবাহ সম্বন্ধ করিতে নিষেধ করিয়াছেন , তখন বঙ্গীয় ঘোষ বসু প্রভৃতি কায়স্থদিগকে ব্রাত্যক্ষত্রিয় ও বৈg্য বলা যাইতে পারে না। ’ কি মূর্খতা । ইনি যে কখন মূল গ্রন্থ অধ্যয়ন কবিয়াছেন তাহ কিছুতেই মনে হয় না । কেন না মহাভাবতের ১৪১ ৷ ১৫ শ্লোকে বৃঞ্চি ও অন্ধক বংশ ব্রাত্যক্ষত্রিয় উল্লেখে আছে। এবং বিষ্ণু পৰ্ব্বে ৩৩৫ অবস্তীপুরেব কণগুপ সান্দীপন মুনি রাম কৃষ্ণকে অধ্যয়ন কবইতেছেন, আবার শ্ৰীমদ্ভাবতে আছে মহর্ষি গৰ্গ ঐ ব্রাত্য বংশেব পুরোহিত ছিলেন। ক্ষত্রিয় সংস্কাবে