পাতা:কায়স্থ-প্রসঙ্গ - সরোজকুমার সরস্বতী.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কায়স্থ-প্রসঙ্গ । X & দাস শব্দ ব্যবহার করিতে ব্যবস্থা করেন নাই। তৎপরিবর্তে বস্থ, ঘোষ, দত্ত, মিত্র প্রভৃতি বংশোপাধি ব্যবহারের আদেশ করিয়াছেন। ইহা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে রঘুনন্দনের পূৰ্ব্বে কায়স্থগণ দাস শব্দ ব্যবহার করিতেন না। কিন্তু তথাপি কায়স্থের ক্রিয়াকৰ্ম্ম শূদ্ৰবং অনুষ্ঠিত হওয়াই তংকৃত স্মৃতির ব্যবস্থা, যেহেতু উপনয়ন-সংস্কারের অভাবে দ্বিজাতির শূদ্র ত্ব অপরিহার্য্য। পণ্ডিত কালীবর বেদান্তবাগীশও তৎকত অভিধানে কায়স্থজাতি সম্বন্ধে রঘুনন্দনের ভ্রান্তি স্বীকার করিয়াছেন । শম্ভূ । প্ৰভো! তবে কি রঘুনন্দন জানিতেন যে কায়স্থ মূলত: ক্ষত্রিয় জাতি, কেবলমাত্র সংস্কারাভাবে শূদ্রবৎ ? সে জন্যই তিনি ক্রিয়াকাণ্ডে দাস শব্দ ব্যবহারের ব্যবস্থা করেন নাই । গুরু । নিশ্চয়ই জানিতেন । শিষ্য । চারিশত বৎসর পূৰ্ব্বেও যে বাঙ্গালার কায়স্থগণ ক্ষত্ৰিয় বলিয়া পরিচিত ছিলেন ইহা প্রমাণ ভিন্ন বিশ্বাস করা যায় না । গুরু । আমিও তোমাকে বিন! প্রমাণে বিশ্বাস করিতে বলি না । আমি নিজেও তাহা করি না। আমি তোমাকে দেখাইব যে তিন শত বৎসর পূৰ্ব্বেও কায়ন্থের ক্ষত্ৰিয়ত্ব সমাজে অজ্ঞাত ছিল না। তোমরা অবগত আছ যে রঘুনন্দন শ্রীচৈতন্যদেবের সমসাময়িক ছিলেন। শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনীলেখকদের মধ্যে কবি কর্ণপুর সর্বপ্রথম । তৎকৃত চৈতন্যচন্দ্রোদয় নাটকের নবম অষ্টকে লিখিত আছে— “কেশববস্বনাম্ন তদমাত্যেন কথিতম্—শুররাণ শ্রীচৈতন্য নাম কোহপি মহাপুরুষঃ পুরুষোত্তমান্মথুরাং প্রযাতি, তদিদৃক্ষয় অম লোকা: সঞ্চরন্তি ।” “মহাপ্রভু হরিনাম করিতে করিতে মথুরার পথে তদানীন্তন গৌড়ের রাজধানী রামকেলীতে উপস্থিত হইয়াছেন। মহাপ্রভুর চতুর্দিকে অগণিত লোক । গৌড়ের মুসলমান শাসনকৰ্ত্ত হুসেন শাহ লোকসমাগম দেখিয়া বিচলিত হইলেন এবং অমান্য "কেশব বসুকে” তাতার