পাতা:কায়স্থ-প্রসঙ্গ - সরোজকুমার সরস্বতী.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কায়স্থ-প্রসঙ্গ । - 32 শন্য। প্রভো, আমরা কুলকারিকাগ্রন্থে পাইয়াছি যে উপবীতত্যাগী ব্রাহ্মণগণ পুনরায় উপনয়ন গ্রহণ করিয়াছিলেন, কিন্তু কায়স্থগণ তখন গ্রহণ করেন নাই কেন ? গুরু । বৎস! সনাতন ধর্শ্বের পুনঃ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গেই সমাজে ব্রাহ্মণগ্রাধান্ত স্বীকৃত হয়, উহা ব্রাহ্মণজাতির পক্ষে বড় কম প্রলোভনের বিষয় নয়। তারপর, জীবিকারক্ষার জন্যও ব্রাহ্মণদের পক্ষে স্বপদে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বিশেষ আবশ্যক হুইয়া পড়িয়াছিল। কিন্তু কায়স্থজাতির পক্ষে সেরূপ প্রলোভন কিছুই ছিল না। অধিকন্তু রাঞ্জকৰ্ম্মচারী কায়স্থগণের রাজধৰ্ম্মে অনুপ্রাণিত হওয়াই স্বাভাবিক। পরবর্তীকালে তাহারা যে তান্ত্রিকধৰ্ম্মে প্রসক্ত হইয়াছিলেন তাহা আমরা দেখিয়াছি। স্বতরাং কায়স্থগণ যজ্ঞোপবীতের কোন আবশ্যকতাই অনুভব করেন নাই । বিশেষত: ক্ষত্রিয়োচিত সামাজিক মৰ্য্যাদা তখন তাহদের অক্ষুণ্ণই ছিল । কিন্তু একমাত্র উপবীতহীনতাই যে ভবিষ্যতে র্তাহীদের বংশধরগণের এত দুৰ্গতি ঘটাইবে তাহা তাহারা তখন ভাবিয়া দেখেন নাই। শিষ্য । গুরুদেব ! কেহ কেহ বলেন যে বস্তৃপুরুষযাবৎ পতিত্সাবিত্রীকের প্রায়শ্চিত্ত শাস্ত্রবিরুদ্ধ। আপস্তম্ব-ধৰ্ম্মস্থত্রে নাকি ঐ রকমের একটা বচন আছে ? গুরু । ই বৎস! বচনটা ঠিকই আছে, কিন্তু বিরুদ্ধবাদিগণ সে বচনের যেরূপ বিকৃতাৰ্থ করেন তাহ নিতান্তই যুক্তিবিরুদ্ধ। যে সহস্ৰাধিক পণ্ডিত সেই বচনের উপর নির্ভর করিয়া কায়স্থ ও বৈদ্যকে প্রায়শ্চিত্তের ব্যবস্থা দিয়াছেন, র্তাহারা কি সকলেই অজ্ঞ ? ভারতে, বিশেষতঃ বাঙ্গালায়, এমন কোন বড় পণ্ডিত নাই যিনি সেই সকল ব্যবস্থাপত্রে স্বাক্ষর করেন নাই । আবশ্বক হইলে তোমর “ব্যবস্থাপত্রমালা" নামক পুস্তকে সে সকল ব্যবস্থা L--۔ काष्ठक-नबि९ उर्दूक ८ कालिष्ठ ।