পাতা:কায়স্থ-প্রসঙ্গ - সরোজকুমার সরস্বতী.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨જી কায়স্থ-প্রসঙ্গ । ব্যবস্থা শাস্ত্রে থাকিলে সে শাস্ত্র নিতান্ত যুক্তিহীন। কোন বুদ্ধিমান লোকই ইহার সমর্থন করিতে পারে না। ! গুরু। না বৎস, শাস্ত্রে নাই, কিন্তু জনৈক টীকাকার পণ্ডি ত তাহার অদ্ভুত । বিদ্যা ফলাইয়াছেন। তবে স্বখের বিষয় যে মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিতগণ তাহা উপেক্ষা করিয়াছেন এবং টীকাটকে ভ্ৰমাত্মক ও প্রমাদাত্মক প্রভূতি বলিয়া সেই অদ্ভুত টীকাকারকে গালি দিতেও ছাড়েন নাই। যাহা হউক, সে জন্য বৌদ্ধযুগে ব্রাহ্মণদের পুনঃসংস্কারও আটকায় নাই। দ্বাদশপুরুষপতিতসাবিত্রীক শিবাজীর উপনয়ন সংস্কারেও বাধ হয় নাই । বৈদ্যদের উপনয়নও নিৰ্ব্বিঘ্নে হইয়া গিয়াছে, কায়স্থেরও আটকাইবে না। শি। প্ৰভো! আপনার সংক্ষিপ্ত সারগর্ভ উপদেশের দ্বার। আমি যেরূপ । প্রবোধ পাইয়াছি, আশা করি সকলেই সেইরূপ প্রবোধ পাইবেন । কিন্তু আর একটা প্রশ্নের মীমাংসা করিয়া না লইলে আমাদের এই গুরু-শিষ্য সংবাদটা অসম্পূর্ণ থাকিয়া যায়। প্রশ্নটা এই যে, কোন কোন শিক্ষিত যুবক বলিয়া থাকেন যে “এখন সাম্যের যুগ। জাতিভেদ বৈষম্যমূলক, অতএ উপনয়নসংস্কারের দ্বারা ভেদের প্রাচীর আরও দৃঢ়তর হইবে, সাম্যের । সঙ্গজ ও সরল গতিতে বাধা পড়িয়া যাইবে । অতএব উপনীত জাতিগণ যাহাতে উপনয়ন পরিত্যাগ করেন, তৎপ্রতি মনোযোগ দেওয়াই আমাদের অবস্ত কৰ্ত্তব্য । ভেদের জীর্ণ প্রাচীর এখন মেরামত করিবার পরিবর্তে উহাকে সত্বর ভূমিসাং করিবার জন্য সবলে পদাঘাত করাই উচিত।” গুরু । বৎস, কতিপয় যুবকের যে ঐ প্রকার মত তাহ আমি জানি । তাহাদের উদ্দেশ্য যে মহৎ তাহাও আমি স্বীকার করি । কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, তাহাদের অবলম্বিত পথটা ভারতের ধাতুসহ নয়। বুদ্ধদেব এবং চৈতন্যদেবের মত মহাপুরুষগণ যাহা পারেন নাই, সাধারণ মানুষ তাহা পরিবেন। একজন নিখিল জ্ঞানের ভিত্তির উপর সাম্য প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। আর একজন বিশ্বপ্রেমকে ভিত্তি করিয়া সাম্যের প্রতিষ্ঠা