পাতা:কায়স্থ-প্রসঙ্গ - সরোজকুমার সরস্বতী.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কায়স্থ-প্রসঙ্গ । ২৭ করিতে চাহিয়াছিলেন। কিন্তু আমরা দেখিতেছি উভয়ের চেষ্টাই প্রায় নিষ্ফল হইয়াছে। তবে তাৎকালিক ঘোরতর বৈষম্যের প্রতিবাদস্বরূপ উহা সময়োপযোগী হইয়াছিল এইমাত্র । জাতিভেদ হিন্দুজাতির মজ্জাগত জিনিষ । উহা একেবারে নিঃশেষিত হওয়া বোধ হয় ঈশ্বরাভিপ্রেত নয় । । মহাপুরুষদের দ্বারা এককালে উহ। অসম্ভব হইয়াছিল বলিয়াই ৰে আর কোনকালে উহা দম্ভব হইবে না, ইহা কেমন করিয়া বিশ্বাস করিতে পারা যায় ? - রু । বৎস । বিশ্বাসের কারণ যথেষ্টই আছে । যাক, সে কথায় এখন কাজ নাই। আচ্ছা, তুমিই বল দেখি উহা কি করিয়া সম্ভব হইতে পারে ? শষ্য । কেন প্রভো, একমাত্র পাশ্চাত্য , শিক্ষার প্রভাবেই উহা সম্ভব হইতেছে । যাহাদের ভিতরে শিক্ষার আলোক প্রবেশ করিয়াছে তাহার জাতিভেদের খুটনাট আদৌ পছন্দ করেন না। বরঞ্চ ভেদবিষজর্জরিত হিন্দু সমাজের আচার ব্যবহারকে র্তাহার। ঘৃণার চক্ষেই দেখেন । গুরু । বৎস, আমিও বর্তমানের বর্ণভেদকে ঘৃণার চক্ষেই দেখি । পশুপক্ষীর স্পৃষ্ট অন্নজল আমাদের অখাদ্য অপেয় হয় না, কিন্তু জাতিবিশেষকে স্পর্শ - করিলেই আমরা গঙ্গাস্বানের ব্যবস্থা করি । আমরা পশু অপেক্ষাও মানুষকে অস্প শু মনে করি । কিন্তু বৎস, উপায় কি ? পাশ্চাত্য শিক্ষার ভিত্তিহীন জ্ঞানের দ্বারা কি উহা দূরীভূত হইতে পারে ? বুদ্ধ বা চৈতন্যপ্রচারিত জ্ঞানের গভীরত। কি পাশ্চাত্য জ্ঞানের গভীরতা অপেক্ষা বেশী নয় ? তথাপি কিন্তু এই উভয় জ্ঞানের আলোকেও সমাজ সাম্যের সন্ধান পায় নাই । স্থায়ীভাবে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয় নাই । শিষ্য । আপনি পাশ্চাত্য জ্ঞানকে ভিত্তিহীন বলিলেন কেন ? অন্ততঃ তাহাদের সাম্যভাব কি কোন আদর্শ সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত নয় ? গুরু । বংস । বৈষম্য ভেদবুদ্ধিপ্রস্থত। কোন উন্নত ধর্শ্বের দ্বারা মানবচিত্ত শাসিত হইলে তবে উহা কতক পরিমাণে দূরীভূত হয়। পাশ্চাত্য