কায়স্থ-প্রসঙ্গ । কলিকাতা হাইকোর্টে ব্যুনাধিক ৬টা মোকৰ্দমায় এরূপ নি। হইয়া গিয়াছে, যাহাতে কায়স্থের সহিত র্তাতি বা ডোমের কোন পর্যু রক্ষা করা হয় নাই। কায়স্থের পত্নী ও উপপত্নীতে কোন বিশেষত্ব নী রক্ষিতার গর্ভজাত সন্তানও বিষয়ের উত্তরাধিকারী হইয়াছে। এক উপনয়নের অভাবেই যে সাধারণ বিচারালয়েও কায়স্থজাতি এইর অপমানিত হক্টতেছে বিচারকগণ রায়ে তাহা স্বীকার করিয়াছেন । ঋষিকল্প পরিব্রাজক স্বামী বিবেকানন্দও উপনয়নাভাবে শূদ্র বলি যৎপরোনাস্তি লাঞ্ছিত হইয়াছিলেন ॥৬ বৎস, এই সকল অপমান ও অন্যান্য প্রকার অপমানের প্রতীকার করি;ে হইলে ব্রাহ্মণকে কিছু অর্থ দেওয়া ভিন্ন উপায় কি ? ব্রাহ্মণ যে সমাজের কর্তৃ ইহা এখনও পর্য্যন্ত কায়স্থজাতি অস্বীকার করিতে পারেন नाई সম্মানের জন্য অর্থব্যয় করিয়া সন্ত্রাস্ত লোকের রাজা, রায় বাহাদুর, রা সাহেব, প্রভৃতি উপাধি লইতে পারেন, আর শাস্ত্রীয় বেদাধিকার ও সামাজিব সম্মান লাভ করিবার জন্য জীবনে একবার মাত্র যৎসামান্য অর্থ ব্যঃ করিতে দাতাশ্রেষ্ঠ কায়স্থজাতি কুষ্ঠিত হইবেন, ইহা বিশ্বাস করা কঠিন । তারপর অল্পসমস্যার কথা যাহা বলিতেছ তদুন্তরে ইহা বলিলেই যঃ হইবে যে পুত্রকন্যার বিবাহে, দৈব ও পিতৃকার্য্যে সহস্ৰ সহস্র মূত্র খরচ হইতেছে তখন অল্পসমস্তার কথা উঠে না, তবে এই অবশ্যকৰ্ত্তব্য উপনয়নের সময়েই বা তাহা কেন উঠিবে ? তবে তুমি বলিবে যে জাতি, ধৰ্ম্ম ও সৰ্ম্মান রক্ষার জন্য অনিচ্ছাসত্ত্বেও ঐ সমস্ত কাৰ্য্য আবশ্বক হইয়া পড়ে । আমি বলিতেছি, উপনয়নও সেইজন্য আবশ্যক হইয়৷ পড়িয়াছে । উপসংহারে আর একটা কথা বলিলেও নিত্যস্ত অভদ্রতা হইবে না যে শুধু বিলাসিত ও নেশার দ্রব্যে যে টাকাটা বাজে খরচ হয় তাহার সহস্র ভাগের এক ভাগেই উপনয়নসংস্কার হইতে পারে। গরীব ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশুগণ অনুপনীত থাকে না । AMAAMMGGAAA AASAASAAAS • পত্তিত গিরিশচন্দ্র বিদ্যালঙ্কার প্রণীর “কায়স্থতত্ত্ব-কৌমুদী” . A নামক । পুস্তকে উপরোক্ত সমস্ত বিষয় বিস্তৃতরূপে বর্ণিত হইয়াছে।
