পাতা:কার্‌বালা - আবদুল বারি.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারবালা “চলেছে বিশ্বাসিৰ্ববৃন্দ সাজিয়া সমরমাঝি, উদ্ধারিতে ফোরাতের অবরুদ্ধ জলদ্বার ; অথবা ভৌতিক দেহ পরিহরি সবে আজ, করিবে অনন্ত যাত্ৰা, ফিরিবে না কেহ আর” ! “বিদায় ল’য়েছি,-মাতা, পিতৃব্য, পিতৃব্য পদে, প্ৰাণের সখিনা ধন দাও মোরে অনুমতি,- করে” আত্মোৎসর্গ এই কারুবালা-সমরনদে, করিব আনন্দ মনে আমিও সে পথে গতি” । “কি কাজ জীবনে বৃথা, দুঃখ-সিন্ধুসন্তরণে ? যে’তেছে ছুটিয়া আহা স্নেহের বন্ধন যত, গ্ৰাসিবে সময়-সিন্ধু ধ্বংস শেষ জনগণে, ভেঙ্গেছে সুখের স্বপ্ন, এ জীবন আশাহত” ! “মরে মোর ভ্রাতা, ভগ্নী, মাতা, খুড়ী, গুরুজন, তুমি প্ৰাণ-সরবস্ব মরিছ যাতনা ভরে, রাখিয়া কি লাভ আর দুখময় এ জীবন ; দিব আত্মাহুতি সুখে কারবালার এ সমরে” ! নেহারি স্বামির পানে, নীরবে সখিনা হায় ! শু’নে সে অশুভ, যেন বজাঘাত শিরে তঁা’র, দুরু দুরু কঁপে বুক, নৈরাশ্য-কম্পন্ন গায় ; বলিল বিশুষ্ক কণ্ঠে,-“আশা বুঝি নাহি আর” ? SSV)