পাতা:কালবৈশাখী - মণীন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অঙ্ক, পরশ । সে যে কেমন একটা আলোছায়ার মেলামেশা । আমি যেন একটা অতীন্দ্রিয় রাজ্যে চলে গেলাম, দেখলাম আমার লক্ষ্মীর, রূপ যেন আর ধরে না । সেই পরিচিত হাসি হেসে সে যেন "ি জ্ঞাসা কোরলে ‘অমন নিষ্পলক চেয়ে রয়েছে কেন ? ...আমায় নিতে পারলে না বুঝি? এ মধুর আবেশ বহুদিন পাই নু তাই ত উত্তর দিলাম না । জানি ওরা অশরীরী মায়া, হয়ত আমার উত্তর পেলেই চলে যাবে ; তাই চুপ কোরে রইলাম । বিন্দু ( সাগ্রহে ) তা’র পর । ङ्गदन আবার শ্রান্ত হিয়া কখন তন্দ্রণর আবেশে ঢলে পড়েছে জানি না । অস্কট আৰ্ত্তনাদে সে তন্দ্রাও আমার টুটে গেলো। পরিচিত স্বর যেন আমার কানে ভেসে এলো । আক্ষেপ-ভরা সুরে শুনলাম মৃণাল বোলছে “সুরমা, রাত্রি অবসানের আর কত দেরী ? ততক্ষণে কি আমার এ যন্ত্রণার উপশম হ’বে না ? অণর ত পারি না... উঃ ” ওরে, সে ব্যথার আর্তনাদ যেন আমার গৃহকোণ হোতে উঠ লো আবার পরক্ষণেই মিলিয়ে গেলো সে কান্নার রেশ । ধীরে ধীরে উঠলাম শয্যা ছেড়ে, অতি সঙ্কোচে জালালাম প্রদীপ, তন্ন তন্ন কোরে খুঁজ লাম সারা ঘরটা কিন্তু কোথায় সুরমা অণর কোথায় মৃণাল ? বিন্দু থাক ও কথা থাকু দাদা । 8 ግ