পাতা:কালবৈশাখী - মণীন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালবৈশাখী छूदन না, না, তা’র পর শোন । নৈরাত্যের ব্যথায় ভেঙ্গে পড়লে আমার মন ; অস্থিরভাবে বারকয়েক পায়চারি কোরলাম সারা ঘরটা । লুদ্ধ মন আমার চাইছিলো আবার সে স্বপ্নে ভুলিয়ে দিতে তা’র অস্তিত্ব কিন্তু গা আমার শিউরে উঠ ছিলো। আমার মনের মাঝে দ্বন্দ্ব সুরু হোল, অবশেষে জয় চোল লুব্ধ মনের। আবার শয্যায় গা ঢেলে দিলাম। আমি বুঝতে পারি না এত ঘুম আমার কাল এলো কোথা হোতে ? আবার অনুভব কোরলাম কমলের মা এসেছে ; পরিচিত পায়ের শব্দে গৃহকোণ মুখর হোয়ে উঠলো । হঠাৎ শ্লেষ-মাখানো সুরে সে যেন বোললে “তোমার হাতে আমার ছেলের এত অনাদর হবে জানতাম না । তা’র সমস্ত সন্তাপ ভুলিয়ে তাই আমি তাকে আজ বুকে তুলে নিযেছি।” মিনতির সুরে তা’কে বোল্লাম “সত্যি আমার অন্যায় হেগয়ে গেছে ; অার একটি সুযোগ আমায় দাও।” উত্তরে সে বোল্লে “বারোটি বছর অপেক্ষা কোরেছিলাম এরই জন্ত । জানো না সন্তানের অনাদর মা’র প্রাণে কেমন বাজে ? তা’কে এখন যেখানে এনেছি সেখান থেকে কেউ ফিরে যেতে পারে না।” মিনতিমাথানো সুরে তা’কে অনুরোধ কোরলাম কিন্তু উত্তরে পেলাম তা’র ব্যঙ্গভরা আটহাসি যা’র সঙ্গে জীবনে অমাব কে নিদিন পরিচয় ছিল না। বিন্দু ! কমল । বিন্দু কমল যে নেই দাদা, আমি ত’কে ডেকে আনছি। ङ्गठन ন। কাজ নেই। আচ্ছ। বিন্দু, স্বপ্ন কি কখনো সত্য হয় ? 8tア