পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাৎপৰ্য্য । ዓ እs মুচ্চিত,--বসন্ত পার্বতীর দেহ আশ্রয় করিয়া ছিলেন—সুতরাং পাৰ্বতীর তিরোধানের সহিত তিনিও তিরোহিত হইলেন। মহাদেব বিরক্ত হইয়া সদল-বলে অন্যত্ৰ প্ৰস্থান করিলেন । এক মুহূৰ্ত্ত পুর্বে যে তপোবন, রতি-মদন-বসন্ত ও গৌরীর উপ স্থিতিতে বিলাসের তরঙ্গে, আনন্দের প্রবাহে ভাসমান হইয়াছিল, অকস্মাৎ তাহা ভীষণ শ্মশানে পরিণত হইল। দগ্ধীভুত কন্দপের ভস্মময় কঙ্কাল, সে শ্মশানের রৌদ্রমূৰ্ত্তি যেন আরও বৰ্দ্ধিত r করিয়া তুলিল। কালিদাসের অতুল কল্পনার বলে, অকস্মাৎ মধুর। প্ৰভাতকালে, যেন গভীর নিশীথিনীর আবির্ভাব হইল! বিষাদের ‘সূচী-ভেদ্য” অন্ধকার, অকস্মাৎ প্রফুল্ল বনস্থলীকে গাঢ়ভাবে আবৃত করিল ! কালিদাস, তপোবনের এই মধুর-মূৰ্ত্তিকে হঠাৎ এমন ভয়ঙ্করী করিলেন কেন ? বিষয়টি একটু নিবিষ্ট-হৃদয়ে বুঝিতে প্ৰয়াস করা যাউক । আমি প্ৰথমেই বলিয়াছি যে, কবিগণের বর্ণনীয় বিষয় মাত্র দুইটি,-বহির্জগৎ ও অন্তর্জগৎ । কবিগণ কখনো বহির্জগতের সাহায্যে অন্তর্জগতের বিচিত্র সৌন্দৰ্য্য, কখনো বা অন্তর্জগতের সাহায্যে বহির্জগতের বিচিত্র সৌন্দৰ্য্য সৃষ্টি করেন। কখনো আবার, উভয় জগতের এমন সংমিশ্রণ করেন যে, বহিরান্তর্বিচারে বিমূঢ় হইতে হয়। 'এই মদন-ভস্ম-ব্যাপারেও, কালিদাস, পৃথক পৃথক ভাবে বহির্জগৎ ও অন্তর্জগতের প্রাধান্য-প্ৰদৰ্শন-পূর্বক, পরিশেষে উভয়ের সংমিশ্রণ করিয়াছেন। প্ৰথম বহির্জগতের অন্যতম প্রধান বসন্ত ও অন্তর্জগতের প্রধান রতি-মদনের সৃষ্টি