セO s কালিদাস । করিয়া, পরে উভয় জগতের সংমিশ্রণ-পূর্বক, প্রমাণ করিয়াছেন যে, তোমার উদ্দেশ্য যদি সাধু না হয়, তবে বহিরন্তর— উভয় জগৎ যুগপৎ সহায় হইলেও তাঁহা সিদ্ধ হইবে না। অসাধুবাসনার সিদ্ধি সুদূর-পরাহত। তাই দেবগণ, বহির্জগতের প্রধান উদ্দীপনারূপী বসন্তের ও অন্তর্জগতের প্রধান উন্মাদক-রূপী মদনের সাহায্য পাইয়াও, অভিপ্রেত হরসমাধি-ভঙ্গ-রূপ অবৈধ কাৰ্য্য সু-সাধিত করিতে পারিলেন না। যে যে কারণের সাহায্যে কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতে গিয়াছিলেন, কাৰ্য্য সিদ্ধি ত দূরের কথা, সেই সেই কারণ-কলাপের পাৰ্য্যন্ত ধবংস হইল। ইহাই হইল মদন-ভস্মের প্রথম তাৎপৰ্য্য । জগতে সকলেই সৌন্দৰ্য্যানুভবের জন্য, সৌন্দৰ্য্য-প্ৰীতিসাধনার জন্য উৎসুক। যাহারা বলেন, “আমি সৌন্দর্য্যের পক্ষপাতী নহি” আমি তাঁহাদের কথার তাৎপৰ্য্য বুঝিতে পারি না। মানুষের হৃদয় কদাচ নিস্ক্রিয় বা নিশ্চিন্ত অবস্থায় থাকিতে পারে না। তুমি যদি সৌন্দৰ্য্যের পক্ষপাতী না-ই হও, তবে তোমাকে কিসের পক্ষপাতী বলিব ? তোমার হৃদয়ের গতি কোন দিকে বলিব ? গুণের দিকে ? তাই যদি হয়, তুমি— যদি গুণেরই পক্ষপাতী হও , তাহা হইলেই তুমি সৌন্দর্ঘ্যের সেবক হইলে । রূপ বস্তুর বহিঃস্থ অস্থায়ি সৌন্দৰ্য্য, আর গুণ তাহার অন্তঃস্থ স্থায়ি সৌন্দৰ্য্য। যাহাতে এই উভয় সৌন্দৰ্য্যের সম্মিলন আছে, তাহাই জগতে অধিকতর কমনীয়। হিমালয়ের নিতম্বদেশে ঘন-কৃষ্ণ মেঘমালার নৃত্য আছে,