trs কালিদাস । শঙ্কর সে বসন্ত-কুসুম-ভূষিতা গৌরীর প্রতি প্ৰকৃত-প্ৰস্তাবে ক্ৰক্ষেপও করিলেন না । যদিও নৈসর্গিক-শাসনানুসারে শত্যুর নয়নত্রয় একবার নিমেষের জন্য, উমার মুখের দিকে পতিত হইবার উপক্ৰম করিয়াছিল মাত্ৰ, কিন্তু বশী মহেশ্বর তৎক্ষণাৎ হৃদয় স্থির করিয়া লইলেন। পাৰ্বতীর সেই অপার্থির রূপে উপেক্ষা প্ৰদৰ্শন-পূর্বক, অবনীত মদনের যথােচিত শাস্তি-দান করিয়া অন্তহিত হইলেন। কবি দেখাইলেন যে, যে ব্যক্তি একবার য়থাথিরূপে বিষয়-বাসনা ত্যাগ করিতে পারিয়াছেন, নশ্বর ভোগের আপাত-রম্যত্ব উপলব্ধি-পূর্বক যে মহাত্মা, অবিনশ্বর, উচ্চতম, চিরানন্দ পদার্থের ভাবনায় চিত্ত সমাহিত করিতে পারিয়াছেন, তঁহার নিকট সকল প্রলোভনই ব্যর্থ। বিশ্ব-ব্ৰহ্মাণ্ডের সমবেত শক্তি-প্ৰয়োগেও তাহার সমাধি ভঙ্গ করা যায় না। সে চেষ্টায় সুফল না হইয়া কু-ফলই হইয়া থাকে। বহিঃ-সৌন্দর্ঘ্য নিতান্ত অলীক, নিতান্ত ভঙ্গুর ; তাই, এক নিমেষের মধ্যেই সৌন্দর্ঘ্যের নিদান মদন ভস্মীভুত, রতি মূচ্ছিত, বসন্ত পলায়িত ও পার্বতী পিতার আশ্রিত হইলেন। মুহূৰ্ত্ত-পূর্বে যে বন সৌন্দৰ্য্যের নন্দন কানন ছিল, মুহূৰ্ত্ত পরেই, তাহা ভীষণ অরণ্যে পরিণত হইল। সৌন্দৰ্য্য এতই অকিঞ্চিৎকার। ইহাই মদন-ভুম্মের দ্বিতীয় তাৎপৰ্য্য। রাজ-নন্দিনী পার্বতী, নারদ-মুখে চন্দ্ৰ-শেখরের নাম-শ্রবণ মাত্ৰেই, উদ্দেশে তাহাকে মনঃপ্রাণ উৎসর্গ করিয়াছিলেন। দিগম্বর পঞ্চাননের রূপ বা গুণ-কিছুরই প্ৰতি লক্ষ্য না করিয়া, অথবা তাহার কোন অনুসন্ধানই না করিয়া, সে বিষয়ে সম্পূর্ণ