পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নুতন সৃষ্টি। S RÍO এবং তাঁহারই ন্যায় উন্মত্ত ও অধীর হইয়া উঠিয়াছে। উন্মত্ত যক্ষ একাকী শ্মশান রামগিরিতে পড়িয়া রহিয়াছে, আর তাহার প্রাণ যেন ঐ মেঘের সহিত আলকায় ছুটিয়াছে। না না, অচেতন মেঘ চেতন যক্ষের প্রাণটি লইয়া, নিজে চেতন হইয়া ছুটিয়াছে, আর এদিকে, প্ৰাণ-হীন যক্ষ মৃতের ন্যায়, রামগিরির বিরহ-তিমিরাবৃত ভয়ঙ্কর মহাশ্মশানে পড়িয়া আছে। তাহার প্রাণময় মেঘ দিগবিদিগ-ভজ্ঞান শূন্য হইয়া, অলকার দিকে ছুটিতেছে, বাধা-বিঘ্ন সমস্ত উপেক্ষা-পূর্বক গন্তব্য স্থানে চলিয়াছে। মেঘ যে স্থানে উপস্থিত হয়, তথায় সমস্তই তাহার আবেশময় ভাবে অনুপ্ৰাণিত হইয়া, তাহারই মত উন্মত্ত হইয়া উঠে। পৰ্বত তাহাকে দেখিয়া অশ্রুপাত করে, পৃথিবী দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়ে, নদীব্যক্ষ উচ্ছসিত হয়। চেতনাচেতন সমস্ত পদার্থের এ প্রকার ব্যাকুলতা আমরা আর কোথাও দেখি নাই। কবি-কুল-পতি কালিদাস। তঁহার ভাবময়ী, উচ্ছাস্যময়ী, আবেগময়ী কল্পনার বলে, যক্ষের যে মূৰ্ত্তি স্বষ্টি করিয়াছেন, তাহা দেখিয়া চেতনাচেতন সমস্ত জগতও যেন ভাবময়, উচ্ছা।সময় ও আবেগময় হইয়া উঠিয়াছে। প্ৰাতঃস্মরণীয় বিদ্যাসাগর মহাশয় যথার্থই বলিয়াছেন যে, মেঘদূত ব্যাতিরিক্ত অন্য কোন কাব্য রচনা না করিলেও কালিদাস ভারতবর্ষের অদ্বিতীয় কবি বলিয়া সর্বত্র অঙ্গীকৃত হইতেন। কালিদাস, মেঘদূত কাব্যের পূর্বমেঘে, রামগিরি হইতে অলকা পৰ্যন্ত-সুদীর্ঘ পথের যে সুন্দর বর্ণনা করিয়াছেন, পথি-পার্শ্ববৰ্ত্তী নদ-নদী-গিরি-বন-উপবন-পথু-রাজধানী প্ৰভৃতির