পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঘুবংশ S KON এই আত্ম-ত্যাগের বহু নিদর্শন আছে। কবি তাহার কাব্যে যদি এই আত্ম-ত্যাগের উৎকৃষ্ট মূৰ্ত্তি সৃষ্টি করিতে পারেন, তবে তাহা সুন্দর হইবে, সন্দেহ নাই। কিন্তু আত্ম-ত্যাগের দৃষ্টান্ত জগতে সচরাচর যেরূপ পরিদৃষ্ট হয়, কবি যদি তদপেক্ষা অধিকতর মনোজ্ঞ করিয়া উহা প্ৰদৰ্শন করিতে পারেন, তবে সেই কবি-সৃষ্টি স্বভাবের সৃষ্টি অপেক্ষা সমধিক চমৎকারিণী ও হৃদয়-গ্রাহিণী হইবে। কিন্তু ঐ চমৎকারিণী কবি-সৃষ্টিতে স্বভাব-বিরুদ্ধ, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কিছুই থাকিবে না। তবেই সে সৃষ্টি সর্ববাংশে নিরবিদ্যু হইল। স্বভাবে যাহা ষোল আনা আছে, কবি তাহ আঠারো আনা করিতে পারেন, কিন্তু স্বভাবে যাহার এক আনাও নাই, থাকিতে পারে না, তাদৃশ বস্তু রচনা করিলে, তাহাতে কবির নৈপুণ্যের অভাবই প্ৰকাশিত হয়। আবার স্বভাবে যাহা আছে, কেবল তাহার অনুকরণ করিয়া চরিত্র-সৃষ্টি করিলেও, তাহাতে কবির কোন প্ৰশংসার কথা নাই। জগতে, আমরা প্রত্যহ যে সকল ব্যাপার প্রত্যক্ষ করিতেছি, কবি-সৃষ্টিতে যদি কেবল তাহারই অনুবৃত্তি দেখিতে পাই, তবে, তাহাতে কবির চিত্ৰ করিবার ক্ষমতার,- যেমন দেখিয়াছেন, কবি ঠিক সেইরূপ চিত্ৰ করিতে পারেন,- এই ক্ষমতার, কথঞ্চিৎ প্ৰশংসা করা যায় বটে, কিন্তু প্ৰকৃত প্ৰস্তাবে, তাহাই কবি সৃষ্টির উৎকর্ষ, একথা বলা যাইতে পারে না । কেননা তাহাতে কবির স্বষ্টি-চাতুৰ্য পরিলক্ষিত হইল কৈ ? আর সেই পরিদৃষ্ট পদার্থের পুনঃ-পরিদর্শনে জগতের, সমাজের তথা পাঠকের উপকার