পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

预动外1 à8Y তোমার সন্তান জন্মিবে না। রাজনী ! সেই কারণে তোমার পুত্ৰ-মুখ-সন্দর্শন প্ৰতিহত হইয়াছে। পূজনীয়ের পূজা, মানীর মান না করিলে অকল্যাণ ঘটে। সেই কামধেনু সুরভি এখন দীর্ঘকালের জন্য পাতাল-বাসিনী । তঁহার কন্যা নন্দিনীর তোমরা সস্ত্রীক আরাধনা কর । নন্দিনীর যদি পরিতোষ জন্মে, তবে তোমাদেরও অভিলাষ পূর্ণ হইবে।” বশিষ্ঠের এই কথা শেষ হইতে না হইতেই সুরভি-তনয়া নন্দিনী অকস্মাৎ বন হইতে প্ৰত্যাবৃত্ত হইয়া তথায় উপস্থিত হইলেন। অতর্কিতোপনতা সেই নন্দিনীকে দেখিয়া মহর্ষি আনন্দ-গদগদ-কণ্ঠে কহিলেন, ‘রাজনী! তোমার অদৃষ্ট প্রসন্ন জানিবে, কল্যাণী নন্দিনী, নামমাত্রেই এই উপস্থিত ; তুমি যাও, ‘বন্য-বৃত্তি’ গ্ৰহণ-পূর্বক, এই ধেনুর অনুগমন করিয়া, সর্বান্তঃকরণে, ইহার সেবা কর গিয়া, আর বধূ সুদক্ষিণা ‘ভক্তিমতী’ হইয়া প্রত্যহ যেন ইহার সেবা করেন। যতদিন নন্দিনী প্ৰসন্ন না হয়েন, ততদিন এই ভাবে, ইহার পরিচর্য্যা’ করিও। আশীৰ্বাদ করি, তোমার পিতা যেমন তোমাকে পুত্ররূপে প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, তুমিও তদ্রুপ উপযুক্ত পুত্রের পিতা হও।” এই বলিয়াই বশিষ্ঠ বিরত হইলেন। আসমুদ্র ক্ষিতীশ্বরের উপর গোচারণের ভার অর্পিত হইল। নর-নাথ অবনত মস্তকে গুরুদেবের আদেশ শিরোধাৰ্য্য করিলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ বুঝিলেন যে, পূজ্যের পূজা-বাধ করিয়াছি, ঘোর অপকৰ্ম্ম করিয়াছি, প্ৰায়শ্চিত্ত আবশ্যক। ক্ৰমে নিশা, সমাগত হইল। মহর্ষি তপোবলে, রাজ্যোচিত শয্যা,