পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ֆ8Ե কালিদাস । লইয়া তুমি এস্থানে উপস্থিত হইয়াছ। আমার খাদ্য আমি গ্ৰহণ করি, আর রাজনী! তুমিও প্রতিনিবৃত্ত হও । গুরুদেবের চরণে তোমার যে কত ভক্তি, তাহা ত তুমি এই দীর্ঘ বনবাসেই প্ৰমাণ করিয়াছ, আর কেন ? আয়ুধ-ধারী বীরের আয়ুধ-প্ৰয়োগে শৈথিল্য না হইলেই হইল, প্রযুক্ত আয়ুধ যদি কোন দৈবকারণে বিফল হয়, তবে তাহাতে বীরের বীরত্বের কোনই হানি ঘটে না, সুতরাং তুমি প্রতিনিবৃত্ত হও ।” বীরবর দিলীপের জীবনে এই প্রথম পরাভব। ইহার পূর্বে আর কখনও তিনি বাণ-প্ৰয়োগে ‘বি তথ-প্ৰযত্ন’ হয়েন নাই।. তিনি অবাক হইয়া গেলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে বলিলেন,-“মৃগেন্দ্ৰ ! এই স্থাবর-জঙ্গমাত্মক পৃথিবীর সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের একমাত্ৰ কৰ্ত্তা সেই চন্দ্ৰশেখর আমার পরম পূজনীয়, তাহার শাসন সৰ্বথা। অলঙ্ঘ্য । আবার এ দিকে, এই ধেনু আমার গুরুদেবের প্রধান হোম-সাধন, সুতরাং ইনিও আমার উপেক্ষণীয় নহেন। যে ভাবেই হউক, এই ধেনুকে আমার রক্ষা করিতেই হইবে।-- আরও দেখ, দিনমণি প্ৰায় অস্তগত, আশ্রমে নন্দিনীর সদ্যোজাতি বৎস সমস্ত দিন স্তন্য-পান করিতে পায় নাই, সেও অতিশয় কাতর হইয়াছে। অতএব তুমি আমার এই দেহদ্বারা তোমার বুভুক্ষার নিবৃত্তি কর, সকল দিক রক্ষা হইবে। মহৰ্ষির ধেনু পরিত্যাগ কর।” উদার নরপতির এই সমুদার বাক্য শ্রবণে, ' কেশরী মনে মনে বড়ই প্ৰসন্ন হইল, কিন্তু , সে, ভাব-গোপন করিয়া বলিল, “রাজনী! তোমার কেন এ দুর্ববুদ্ধি ? এই বিশাল