পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুত্র-লাভ । à ć ( স্বর্গের ইন্দ্ৰ শতাশ্বমেধ যাগ সম্পূর্ণ করিয়াছিলেন, তাই তাহার নাম ‘শতক্ৰতু। মহারাজ দিলীপও প্রায় নিরানব্বইটি "অশ্বমেধ যজ্ঞ করিয়াছেন, আর একটি করিতে পারিলেই তিনিও “শতিক্রতু’ আখ্যা প্ৰাপ্ত হইবেন, তাই দিলীপ, আর একটি অশ্বমেধ আরম্ভ-পূর্বক, তাহার তুরঙ্গ-রক্ষণে যুবরাজ রঘুকে নিযুক্ত করিলেন। ইন্দ্ৰ দেখিলেন-প্ৰমাদ, তাহার অদ্বিতীয় ‘শতক্ৰতু’ নামটি এতদিনে বুঝি বিলুপ্ত হয়, তাই তিনি, অকস্মাৎ সেই যুবরাজ-রক্ষিত যজ্ঞাশ্বের অপহরণ করিলেন। ক্ৰমে ইন্দ্ৰ ও রঘু-পরস্পরের সাক্ষাৎ হইল। অনেক বাগবিতণ্ডা হইল। পরিশেষে বিষম যুদ্ধ বাধিল । যুবরাজ রঘুর বীরত্ব-দর্শনে দেবরাজ ইন্দ্র পরম সন্তুষ্ট হইলেন। গুণের আদর করিয়া রঘুকে কোলে টানিয়া লইলেন। র্তাহার রুধিরাক্ত দেহে করষ্পর্শ করিতে লাগিলেন। পরে ইন্দ্ৰ, দিলীপকে যজ্ঞ-ফল-যুক্ত করিতে .প্ৰতিশ্রুত হইয়া অন্তহিত হইলেন । মহারাজ দিলীপ যজ্ঞসমাধা-পূর্বক, বৃদ্ধবয়সে, কুলের চিরন্তন প্রথানুসারে, যুবরাজকে রাজচ্ছত্র অর্পণ করিয়া শান্তি-লাভ-বাসনায় বনগমন করিলেন। মগধ রাজনন্দিনী সাধবী। সুদক্ষিণাও তাহার অনুগামিনী হইলেন। দিলীপ-চরিত্রে দেখিলাম,--আৰ্য্য-নর-পতি-গণের সিংহাসন বিলাসের সামগ্ৰী নহে। উহা রাজার কঠোর কৰ্ত্তব্যের কেন্দ্ৰস্বরূপ। রাজা প্ৰজার মঙ্গলের জন্য সিংহাসনে অধিরূঢ় হয়েন। প্ৰজামণ্ডলীই তঁহার অস্তিত্ব । তদন্তিরিক্ত অন্য অস্তিত্ব তাহার নাই। দেখিলাম আৰ্য্য-নর-পতি