পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ অধ্যায় । দশরথ । যুবরাজ দশরথ, মহারাজ অজের শোকা শ্রদ্ধ-দিগ্ধ সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হইয়াছেন। প্ৰজা-রঞ্জন অজের প্রয়োপবেশন-মরণে অযোধ্যার রাজ-ধানীস্থ সকলেই মৰ্ম্মাহত । রাজসংসারে গভীর শোকের একটা গাঢ় আবরণ পড়িয়ছে। মহারাজ দিলীপের সময় হইতে অজের রাজত্ব-কাল পৰ্য্যন্ত, যে অযোধ্যায় কেহ কখনো বিষাদের মুখ দেখে নাই, এই সুদীর্ঘ কাল, আমোদ আহলাদের অমৃত-সাগরে যে অযোধ্যা নিরন্তর নিমগ্ন ছিল, আজ সেই সুখের অযোধ্যায় কালকীট প্রবেশ করিল। অযোধ্যাবাসি-গণের সুখরূপ নিৰ্ম্মল আকাশে ঘন-কৃষ্ণ মেঘের আবির্ভাব হইল। হয়ত, কালে এই মেঘ ‘অগ্নিবর্ণ”-প্ৰলয় মেঘে পরিণত হইয়া, অনল-বর্ষণপূর্বক, সোণার অযোধ্যা ভস্মসাৎ করিবে। চিরদিন কখনো সমান যায় না । তোমার জীবনে একবার যদি বিষাদের রেখাপাত হয়, তবে, আমরণ তোমাকে ঐ রেখা হৃদয়ে ধারণ করিতে হইবে। কত সোণার সংসার,-সুখশান্তির আবেশময় উৎসঙ্গে সুষুপ্ত সংসার, হঠাৎ একটা দুৰ্দৈবসম্পাতে চিরদিনের মত ভাঙ্গিয়া গিয়াছে! দুৰ্দৈঘি, অন্ধুর রূপে প্রবেশ-পূর্বক, প্ৰকাণ্ড মহীরুহের আকার ধারণ করিয়া, সুদৃঢ় ংসারভিত্তি শতধা বিদীর্ণ করিয়া দিয়াছে । আজ অযোধ্যার