পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ দশরথ । . ২০৩ { দশরথ মধ্যে মধ্যে একটু বিমনা হইয়া পড়েন। (১) কালিদাস জীবহৃদয়ের প্রত্যেক শিরা-ধমনীকৈশিকা পৰ্যন্ত এত সূক্ষভাবে চিনিতেন, যে, কখন কোন শিরায় কি রক্ত প্রবাহিত হয়, . কখন হৃদয়ের কোন প্রান্তে কিরূপ ভাবের উদয় হয়,-তাহা । তিনি অভিজ্ঞ শারীরতত্ত্ববিদের ন্যায়, নিপুণ জ্যোতির্বিদের te', ন্যায়, বুঝিতে পারিতেন। সংসারের সর্বপ্রধান আকর্ষণ অপত্য। ষ্ট্র কালিদাস, যখনই অবসর পাইয়াছেন, তখনই এই ‘আকর্ষণী দ্বারা র্তাহার সামাজিকগণের হৃদয় আকৃষ্ট করিয়াছেন। ; ংসারের এই “সদ্যঃশোক-তামোপহ’ সন্তানের অভাবে দশরথ বড়ই ক্ষুন্ন ; এমন সময়ে, অত্যাচারি-রাবণ-কর্তৃক একান্ত বিড়ম্বিত হইয়া, প্ৰতিকার-বাসনায় দেব-গণ ক্ষীরোদ-শয়ন-সুপ্ত বিষ্ণুর নিকটে উপস্থিত হইলেন। সমবেত দেববৃন্দ, মৰ্ম্মের বেদন জ্ঞাপন করিয়া সেই জলশায়ী বিশ্বরূপের কত স্তব করিলেন । কবি-কুল-কেশরী কালিদাস স্বকীয় অলৌকিক প্ৰতিভার মােহনমন্ত্রে, যেন, পাঠকদিগকে বিমুগ্ধ করিয়া অকস্মাৎ অযোধ্যার রাজধানী হইতে, নিমেষমধ্যে, সেই সমুদ্র-তলে, ‘ভোগিভোগ সমাসীন মহাবিষ্ণুর পাদ-প্রান্তে লইয়া গেলেন। , একবার কুমার-সম্ভবে, কবি, ইন্দ্ৰাদি-দেব-গণের সহিত পাঠক দিগকেও, হিন্দুর পরমারাধ্য দেবতা ব্ৰহ্মার চরণ-প্ৰান্তে লইয়া গিয়াছিলেন। দুরন্ত তারকাসুরের কারাগারে বন্দীকৃত। সুর (S) ay so-O |