পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OY কালিদাস । মিথিলাপতির সেই অশক্যভঙ্গ ‘হরধনুর বৃত্তান্ত বিবৃত করিলেন। বালত্ব-সুলভ-কৌতুহল নিবন্ধন এবং ক্ষত্ৰতেজের প্রকৃতি-সিদ্ধ ধৰ্ম্মানুসারে, রাম সেই অনন্য-দুরােনম চাপ দর্শনের নিমিত্ত অতিশয় ঔৎসুক্য প্রকাশ করিলেন। বিশ্বামিত্রও তাঁহাদিগকে মিথিলার রাজসভায় লইয়া গেলেন। মিথিলেশ্বর, “প্ৰথিত-বংশ’- সদ্ভুত বালক রাম-লক্ষণের “ললিত' কলেবর এবং অনন্য-দুরানম হরধনু,-এতদুভয়ের বিষয় চিন্তা করিয়া অত্যন্ত বিষন্ন হইয়া পড়িলেন। (১) মনে মনে আলোচনা করিতে লাগিলেন যে, “আমি কেন আমার দুহিতার পরিণয়ে এই ধনুৰ্ভঙ্গ-পণ করিয়াছিলাম ? আহা, বালকের কি মধুর আকৃতি ! যদি ইহারা ধনুৰ্ভঙ্গ করিতে না পারে, তবে উপায় ? পবিত্ৰ আকৃতির এমনই একটা ঐশী শক্তি যে, তাহার নিকট সকলকেই পরাজিত श्ड श्श । রামচন্দ্ৰ হাসিতে হাসিতে সেই বিশাল হর-চােপ ভগ্ন করিলেন । সভাস্থ অপরাপর , নৃপতি-বৃন্দ “বিস্ময়-স্তিমিত-নেত্ৰে তাহার দিকে চাহিয়া রহিলেন। পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দৃঢ়কায় নৃপতি যে ধনু উত্তোলন করিতে না পারিয়া সলজবদনে প্ৰস্থান করিয়াছেন, সেই ধনু শিশু রামচন্দ্ৰ ভগ্ন পৰ্য্যন্ত করিলেন, ইহাতে জনকের বিস্ময়ের আর সীমা রহিল না। তিনি,যে ধনু-ভঁঙ্গ-পণের জষ্ঠ পূর্বে অনুশোচনা করিয়াছিলেন, এইক্ষণ তাঁহারই আবার (১) যু, ১১শ-৩৮—তস্য বীক্ষ্য ললিতং বপুঃ শিশো পার্থিবঃ প্রথিত বংশ-জন্মনঃ। " স্বং বিচিন্ত্য চ ধনুদুরানামং পীড়িতে দুহিতু শুষ্ক-সংস্থয়া ।